BJP In West Bengal : সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিতে কি আগ্রহী বঙ্গ-পদ্ম – bjp in west bengal going to take minorities in their party


মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত
সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা ভাবছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যকারিণী বৈঠকে সে কথা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীই। বলেছিলেন, ‘সংগঠনে সংখ্যালঘুদের টানতে হবে। সমাজে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াতে হবে পার্টিকে।’

BJP In West Bengal : বাম-কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ-বার্তা বিজেপির
কিন্তু বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব মোদীর সেই বার্তা কতটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন? প্রশ্নট উঠছে কারণ, সম্প্রতি দলের ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’-এর যে সার্কুলার রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় পাঠিয়েছেন, সেখানে মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির নিদান থাকলেও কোথাও সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ নেই। বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করতে সার্কুলারে গুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার নেতাদের।

Manas Bhunia : ‘নিজের নয়, মমতা-অভিষেকের ছবি দিন’, দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর
এক জায়গায় লেখা – বুথে অবস্থিত মন্দির, মঠ এবং আশ্রমে সম্মানীয় পুরোহিত, ব্রাহ্মণ অথবা পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। সমাজের কোন স্তরের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে দলের নেতা-কর্মীদের জোর দিতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় কোথাও সংখ্যালঘু সম্পদায়ের উল্লেখ নেই কেন, সে প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরেই।

BJP In West Bengal : ঝান্ডা বওয়ার লোক নেই, পদ্মে-ভরসা ভার্চুয়াল কর্মী
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২১ বিধানসভা ভোটে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে গদিচ্যুত করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই কৌশল ফলপ্রসূ হয়নি। ফলাফলে স্পষ্ট হয় যে সংখ্যালঘুরা এককাট্টা হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করেন। অথচ বিজেপি সংখ্যাগুরু ভোটও নিজেদের পক্ষে জোটবদ্ধ করতে পারেনি। মাঝখান থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে।

Sagardighi By Election : প্রার্থী থেকে দায়িত্ব বণ্টন, হারের কারণ একাধিক
তাই পঞ্চায়েতের আগে বঙ্গ-বিজেপির অনেকেই রণকৌশল বদলাতে চান। রাজ্য বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতার দাবি, ‘সাগরদিঘির ফলাফলে স্পষ্ট, সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। এই সুযোগে সংখ্যালঘুদের কাছে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের। কিন্তু দলের নেতাদের বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করার জন্য শুধু মন্দিরেই যেতে বলা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের কাছে যেতে বলা হয়নি।

Biman Banerjee : ‘উনি তৃণমূলের লোক…’, সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বিস্ফোরক স্পিকার
এই সুযোগে সংখ্যালঘু সমাজে সিপিএম-কংগ্রেস নিজেদের প্রভাব বিস্তার করবে।’ যদিও সাগরদিঘির ফল দেখে সংখ্যালঘুরা তাদের থেকে সরে গিয়েছে বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। এ দিকে, মোদীর বক্তব্যের সঙ্গে সার্কুলারের বার্তা না-মেলায় কার্যত ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র চেষ্টায় বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় আমাদের দলের নেতারা অবশ্যই সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানগুলিতে যাবেন।’

Trinamool Congress : ১৮ দলের ইডি অফিস অভিযানে তৃণমূলের ‘একলা চলো’ নীতিই
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আরও এক কদম এগিয়ে একেবারে ডিএনএ-প্রশ্নে পৌঁছে গিয়েছেন। বলেন, ‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যাব। বলব, আমাদের ডিএনএ এক। আমাদের পূর্বপুরুষ এক।’ দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন বলেন, ‘রাজ্যে ২০ হাজারেরও বেশি বুথ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তাঁদের কাছে যেতেই হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *