বজ্রপাতে ইনসুলেটার নষ্ট হয়েছে বহু জায়গায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিনশোর অধিক বিদ্যুৎকর্মী ও অফিসার কাজ করছেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য। এই বিষয়ে WBSEDCL-এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখার্জী বলেছেন, “এটি একটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। বেশ অনেকদিন বাদে একসঙ্গে এতগুলি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই সব জায়গাতেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সব থেকে সমস্যা হচ্ছে লাইনের ওপর গাছ পড়ে গিয়ে। তাতে প্রচুর তার ছিঁড়ে গিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় নতুন কেবল এনে নতুনভাবে তার লাগানো হচ্ছে। প্রচুর কর্মী কাজে নেমে পড়েছেন। বহু জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেক সাহায্য করছেন”।
শুধু দার্জিলিং না, একই খবর এসেছে পাশের জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকেও। অনেক জায়গাতেই চলছে লোডশেডিং। দ্রুত গতিতে কাজ চললেও বিদ্যুৎ বন্টন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে WBSEDCL। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল ১৫ই মার্চ দুপুর বেলায় আধার নেমে পড়ে দার্জিলিংয়ে। বিকেল নামতে শৈল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা শিলার চাদরে ঢাকা পড়ে।
শিলা বৃষ্টির সঙ্গেই চলে ঝোড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টি। অপরূপ দৃশ্য দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে ওঠেন পর্যটক মহল। অনেকে এই মনমুগ্ধকর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন। বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির জেরে একধাক্কায় আরও তাপমাত্রা নেমে যায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি যখন তীব্র গরমে রীতিমতো পুড়ছে, তখন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে পাহাড়বাসীকে। তবে এই শিলাবৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েন স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রী ও রাস্তায় বেরোনো মানুষ। সাধারণত হোলির পরই শীত চলে যায় পাহাড় থেকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখনও শীতই উধাও হয়নি।