এলাকায় একাধিক জ্বরে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ক্যাম্প করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। গত মঙ্গলবার রাতে এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মৃত ছাত্রীর নাম রমা রায় (১৬)। ছাত্রীর মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আজ সকালে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল এলাকায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে যায়। বাড়ির আশপাশের মশা মারার স্প্রে করা হয়। পাশাপাশি মৃত ছাত্রের বাড়িতে আর কেউ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখেন তারা। এছাড়াও গোটা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়েও সার্ভে করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গোপাল রায়ের মেয়ে রমা রায় এ বছর মাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়েছিল। কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার রমা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। পরিবারের দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন রমার গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ও জ্বর ছিল। গায়ে জ্বর নিয়ে সে সমস্ত পরীক্ষা দিয়েছে।
এর পরেই মার্চ তাকে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। বিভিন্ন শারিরীক পরীক্ষা করার পরে চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেন রমা এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।
এর পরেই হঠাৎ ১৪ মার্চ রাতে রমার মৃত্যু হয়৷ এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পাশাপাশি, এনসেফালাইটিসে মৃত্যুর কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। রমার পরিবারের সদস্যদের দাবি, এলাকায় শুকরের একটি খাটাল আছে।
তাদের অনুমান, সেখান থেকেই এই মশা বাহিত রোগ তাদের মেয়ের শরীরে এসেছে৷ এলাকায় একটি শুকরের খাটাল থাকায় গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।বসিন্দাদেরও অনুমান, এই খাটাল থেকে এই ভয়ানক রোগ ছড়িয়ে থাকতে পারে৷
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানানো হয়েছে, এলাকায় জ্বর হলে আমরা মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হবে। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে কারও জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পরিদর্শনে কিছুটা স্বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা।