রাউতাড়া শ্রীগোপাল নব জাগরণ সংঘের উদ্যোগে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এবছর তাদের পুজোর বয়স ১২ বছর। ১২ তম বর্ষে তাদের ভাবনা বাদ্যযন্ত্র। থিম তৈরি হয়েছে বাঁশ,কাঠ ও থার্মোকল দিয়ে। পুজো চলবে রবিবার পর্যন্ত।
চারদিন ব্যাপী পুজোর আয়োজনে রয়েছে নৃত্য প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত সন্ধ্যা সহ একাধিক সামাজিক কর্মসূচি। সব মিলিয়ে পুজোর বাজেট প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে এমন থিমের মণ্ডপ, চমকপ্রদ প্রতিমা ও আলোকসজ্জা পাশ্ববর্তী ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের নজর কাড়বে বলে মনে করছেন ক্লাব কৃর্তপক্ষ।
সাধারণত, ভাদ্র মাসের শুক্লচতুর্থী তিথি সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মতিথি। তবে চৈত্রের প্রথম দিনে এখানে গণেশ বন্দনায় মেতে ওঠে মানুষ। ইতিহাস বলছে সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময়ে মাতা দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়। শনিদেব অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, কারণ তিনি যানতেন তাঁর দৃষ্টিতে স্ত্রীর অভিশাপ আছে।
স্ত্রীকে অবহেলার কারণে শনিদেবের স্ত্রী শনিদেবকে অভিশাপ দেন। শনিদেব যাঁর দিকে নজর দেবেন, তাঁর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরীপুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র শিশু গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তীমস্তক দ্বারা শ্রীগণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এরূপ দর্শনের কারণে শ্রীগণেশ কি দেবতা রূপে সকলের পূজিত হবেন। অবশেষে দেবতাগণের আশীর্বাদে শ্রীগজানন সিদ্ধি বা সাফল্য লাভের দেবতার স্থান পান। তবে তিনি হন সিদ্ধিদাতা।
উল্লেখ্য, বাঙালির দুর্গোৎসবের মতোই ভারতের একাধিক রাজ্যে গণেশ পুজো উৎসব হিসাবে পালন করা হয় ৷ আর এই তালিকায় সবার আগে আসে মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাম৷ যেখানে ‘গণপতি মহোৎসব’ পালন করে মারাঠিরা।
তবে পশ্চিমবঙ্গেও গণেশ চতুর্থীতে একাধিক জায়গায় মহা সমারোহে গণেশ উৎসব পালন করা হয় থাকে। তবে পূর্ব মেদিনীপুর পটাশপুরে চৈত্রের প্রথম দিনে গণেশ পুজোর আয়োজন সত্যি ব্যতিক্রম।