স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড চত্বরে। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরেকজনের চোট গুরুতর হওয়ার হাসপাতালের বেডেই তার পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়। কীভাবে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গঙ্গারামপুর থানার রতনপুর থেকে বংশীহারী গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসছিল দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী৷
এক পরীক্ষার্থীর বাবার টোটো করেই আসছিল তারা। আসার পথে টোটোটি রাস্তায় উলটে যায়। ঘটনায় আহত হয় প্রতিমা মার্ডি এবং অঞ্জলি মার্ডি নামে দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
বংশীহারী গার্লস স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মালদার দিক থেকে আসা একটি ট্যাক্সিকে বাঁচাতে গিয়ে টোটোটি পাল্টি খেয়ে যায়। ঘটনায় আহত হয় দু’জনেই।
এদিকে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে থাকা পুলিশ কর্মীরা তৎক্ষণাৎ ছাত্রীদেরকে নিয়ে আসে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় অঞ্জলি মার্ডিকে। তবে প্রতিমার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিমার মাথা, পা এবং হাতে প্রচণ্ড চোট পেয়েছে।
আহত পরীক্ষার্থীর বাবা বিশ্বনাথ মার্ডি বলেন, “বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডের ওখানে একটা টার্নিংয়ে হঠাৎ আমার সামনে একটি ট্যাক্সি হঠাৎ করে চলে আসে। আমি সেটিকে কাটাতে গিয়েই টোটোটি উলটে যায়।”
হরিরামপুর ট্রাফিক ওসি জয়তপাল বিশ্বাস বলেন, “সিগন্যাল ভেঙে টোটোটি ঢুকে গিয়েছিল। সামনে ট্যাক্সি চলে আসায় চালকটি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। এরপর ঘোরাতে গিয়ে টোটোটি উলটে যায়। আমরা তৎক্ষণাৎ ছাত্রী দুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।”
একজন ছাত্রীকে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও আরেকজন ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, বলে জানান চিকিৎসকরা। সেই কারণে তাকে হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।