ছাত্রীর বাবা গৃহশিক্ষকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর মেয়ে নাকি এদিন সেখানে পড়তেই যায়নি। জানা গিয়েছে, ভদ্রকালি সারদামনি গার্লস স্কুলের ছাত্রী অনিতা কুমারী পাশোয়ান। এই বিষয়ে ছাত্রীর বাবা পবন পাশওয়ান বলেন, “সকাল সাড়ে দশটায় পড়তে যায় আমার মেয়ে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ মেয়ের সঙ্গে কথা হয় মোবাইলে। বলে একটু পরেই বাড়ি ফিরবে।
তার কিছুক্ষন পরে মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তেও যায়নি, সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম”। চারিদিকে খোঁজ খবর করার পর উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়। ওই পরীক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, “মেয়ে পথঘাট খুব একটা চেনে না। আমি ওকে দিয়ে আসতাম পড়তে বা স্কুলে। কোথায় গেল বুঝতে পারছি না”।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজ মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। সমস্ত দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি যে গৃহশিক্ষকের কাছে অনিতা পড়তে গিয়েছিল, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ রাখা হচ্ছে না কাউকেই।
মেয়েটির সঙ্গে কোনও ছেলের সম্পর্ক আছে কিনা, সেই বিষয়ে পরিবারের তরফে অস্বীকার করা হলেও, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কথা বলা হবে মেয়েটির বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গেও। সেখান থেকে কোনও গোপন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। এলাকার CCTV গুলি স্ক্যান করেও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এদিকে মেয়েটির পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, অনিতা নিজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট মনযোগী ছিল। সে নিজে থেকে এভাবে কোথাও চলে যেতে পারে না। অনিতা নিশ্চয়ই কোনও বিপদে পড়েছে, এই দাবি জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিজের মেয়েকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তার বাবা।