অভিযোগ, বাড়ির মূল গেটে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে অ্যাডমিট কার্ড সহ পরীক্ষার সরঞ্জাম। শ্বশুর বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে এসে, সোজা থানার দ্বারস্থ হন ওই পরীক্ষার্থী। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাঁর ইংরাজি পরীক্ষায় বসার বন্দোবস্ত করে।
জানা গিয়েছে, ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রামের ওই পরীক্ষার্থীর নাম সুলতানা খাতুন। বছর কুড়ির সুলতানা খাতুনের বিয়ে হয় বিন্দুগ্রামে বান্টি শেখের সঙ্গে। সুলতানা খাতুন এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে। তার পরীক্ষার সিট পড়েছে নিউ ফরাক্কা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রথম দিন পরীক্ষায় বসেছিল সুলতানা। কিন্তু, তারপরেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মত বদলে যায়। তাকে পরীক্ষা বসতে দিতে আপত্তি জানায় পরিবারের লোকজন। কিন্তু সুলতানা খাতুন পরীক্ষায় বসতে চায়। এই নিয়ে বচসার জেরে তাঁর অ্যাডমিট কার্ড সহ বই লুকিয়ে রাখে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমনকী তাঁকেও তালা দিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
Higher Secondary Exam: আগেরদিন অবধি অ্যাডমিট কার্ড অধরা, তারপর জানুন কী হল
বৃহস্পতিবার সকালে কোনওরকমে বাড়ির পাঁচিল টপকে বেড়িয়ে সোজা ফরাক্কা থানায় পৌঁছয় সুলতানা। পুলিশকে সব কথা খুলে বলতেই এরপর পুলিশই তার পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে। সুলতানার এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শিক্ষা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার, অথচ সেই অধিকার আদায়ে আজও কঠিন লড়াই লড়তে হয় সমাজের একাংশকে। বিশেষত কন্যাসন্তান। তারপর সে যদি কারও বিবাহিত হয় তাহলে তো কথাই নেই। নারী শিক্ষায় উৎসাহিত করতে কেন্দ্রের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কন্যাশ্রীর মতো একাধিক পুরস্কারজয়ী প্রকল্প রয়েছে। তবুও সমাজের একাংশের মানসিকতাই হচ্ছে মূল শত্রু তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।