সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , ‘তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে গত ১৩ই মার্চ ভারতীয় সেনার গুলিতে দাঁতাল হাতির মৃত্যুর যে খবর কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ধরনের ভুয়ো খবরের তীব্র নিন্দা করছে ও আশা করছে ভবিষ্যতে সংবাদমাধ্যমগুলি এই ধরনের মিথ্যা খবর পরিবেশন থেকে বিরত থাকবে। এই ধরনের ভুয়ো খবর অবিলম্বে তুলে নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী দাবি জানাচ্ছে।’
গত ১৩ই মার্চ তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জ সহ সন্নিহিত কোনও এলাকায় কোনও দাঁতাল হাতির মৃত্যু হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসী, পুলিশ, পেট্রোলিং টিম কারও তরফ থেকেই তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে ওই দিন কোনও দাঁতাল হাতির গতিবিধির খবর পাওয়া যায়নি। গত ১৪ই মার্চ একজন গ্রামবাসীর সঙ্গে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে।
ভুলবশত তিনি ফায়ারিং রেঞ্জে প্রবেশ করেছিলেন, এবং প্রশিক্ষন চলাকালীন একটি আর্টিলারি শেল ওই ব্যক্তির সামনে গিয়ে পড়ে। ওই শেল ফেটে ওই গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ভারতীয় সেনার তরফে গত ১৪ই মার্চ এই বিষয়ে একটি সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল’। সেনার তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে প্রত্যেক মুহূর্তে সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।
প্রশিক্ষন চলাকালীন হোক বা প্রশিক্ষন বন্ধ থাকার সময় হোক, সবসময় কড়া নজরদারির মধ্যে থাকে এই নির্দিষ্ট এলাকা। পুলিশ ও পেট্রোলিং দলগুলির তরফে প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রামবাসীদের অবহিত করা হয়। এমনকি স্থানীয় গ্রামবাসীরাও কোনও জীবজন্তুর গতিবিধির খবর পেলে সেনাকে এই বিষয়ে সূচিত করেন ও তৎক্ষণাৎ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার জন্য সেনার প্রশিক্ষন বা অন্যান্য কর্মসূচি বন্ধ করা হয়’।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই মার্চ ভুল করে সেনার প্রশিক্ষণ চলাকালীন তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে ঢুকে প্রাণ হারান এক গ্রামবাসী। এই খবর প্রকাশের পাশাপাশি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এও বলা হয় যে সেনার প্রশিক্ষনের গুলিতে ১৩ই মার্চ একই এলাকায় একটি দাঁতালের মৃত্যু হয়েছে। যা এই বিবৃতির মাধ্যমে খণ্ডন করল ভারতীয় সেনা।