অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে ব্যানার টানিয়ে মেলার বিল কাটা হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন মমতাবালা। যা নিয়ে আদালতের দারস্থ হলেন তিনি। এই বিষয়ে অভিযোগ করে তিনি জানান, “আমরা মেলা করার অনুমতি পেয়েছি। ফলে আমরা মেলায় বিল না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের পক্ষ থেকে কয়েকজন অবৈধভাবে মেলার বিল কাটছে। বারন করতে গেলে শুনছে না। গায়ের জোর দেখাচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে দারস্থ হয়েছি আমরা”। তবে এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের পক্ষ থেকে কেউ প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এদিকে, ঠাকুরবাড়ির দুই পক্ষের দুই মত নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন দোকানদাররা। তাদের দাবি আমরা প্রতিবারের মতন এবারও জায়গার জন্য বিল কেটেছি ।
কিন্তু দুই পক্ষের দুই মত হওয়ার কারণে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে এক দোকানদার বলেন, “আমি এই মেলায় প্রত্যেকবছর আসি। প্রত্যেকবারই বিল কাটি, এবারও কেটেছি। পড়ে শুনছি এবার নাকি ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার বুঝতে পারছি না কি করা উচিত। বিলের টাকা ফেরত চাওয়া উচিৎ হবে কিনা সেটাও বুঝতে পারছি না। আবার কোর্টের রায় যতদিনে আসবে, ততদিনে যদি মেলা শেষ হয়ে যায়, তাহলে আর বিলের টাকা ফেরত চেয়েই বা কি লাভ”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একমাসের কিছু বেশি সময় আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এক মন্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দেয় ব্যাপক বিক্ষোভ। ঘটনার ফায়দা তুলতে নেমে পড়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আর এবার মতুয়াদের ঐতিহ্যশালী বারুণী মহামেলাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাপ ছড়াল মতুয়া মহলে, সেই সঙ্গে ঠাকুর পরিবারের অন্দর মহলেও। এবার এই ঘটনার রেশ কতদূর গিয়ে পৌঁছয়, তাই দেখার অপেক্ষায় রাজ্যের মতুয়া মহল।