ক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেন। আধিকারিকদের বের করে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনিক ভবন। শুধু জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও একটি ছাত্রাবাস ও দু’টি ছাত্রী আবাস রয়েছে। সব মিলিয়ে হাজারখানেক ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশোনা করেন। রামকৃষ্ণ ছাত্রাবাস ছাড়া বাকি তিনটির বরাদ্দও শেষের পথে। অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা না হলে সেখানেও অচলাবস্থা তৈরি হতে চলেছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন নিয়ে একই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সমস্যার মূল কারণ, উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স অফিসার পদ শূন্য থাকায় অর্থকরী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নেই। ছাত্রছাত্রীরা হস্টেলে থাকা-খাওয়া বাবদ ফি দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ও এই খাতে ভর্তুকি বাবদ অর্থ বরাদ্দ করে। সব টাকাই অর্থ দপ্তর থেকে প্রয়োজনমতো দফায় দফায় বরাদ্দ করা হয়। ফিনান্স অফিসার না-থাকায় অর্থ বরাদ্দ করাই সম্ভব হচ্ছে না। উপাচার্য না-থাকায় অন্য কোনও আধিকারিককে অস্থায়ী ভাবে এই দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ দিন জরুরি ভিত্তিতে কিছু টাকা বরাদ্দ করা হলেও ছাত্রদের দাবি, স্থায়ী সমাধান চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত এ দিন উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং আচার্যকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানালেও কবে সমস্যা মিটবে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তাদের বাস্তব পরিস্থিতি জানিয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটবে।’ ছাত্রদেরও সাফ কথা, দ্রুত সমস্যা না-মিটলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হবে।