সূত্রের খবর, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেন, “আমি নিয়োগ কর্তা নই, মন্ত্রী ছিলাম। আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি।” অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার যাবতীয় দাবি খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। গ্রেফতারির পর থেকেই অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে কোনও জানেন না।
২৩ মার্চ এই মামলা শুনবে আদালত। সেখানে বলার জন্য ৫ মিনিট সময় চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সূত্রের খবর এমনটাই। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে এদিন আদালতে প্রবেশ করার সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, “শোনা যাচ্ছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আপনাকে দেখে ‘হার্ট সাইন’ দিয়েছেন। কিছু বলবেন?” এই প্রশ্ন শুনে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রবেশ করে যান আদালতের ভেতর।
সূত্রের খবর, এদিন ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পালটা বার্তা দিয়েছেন। ফিরহাদ হাকিম নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “এই পার্থদাকে আমি চিনি না।” শোনা যাচ্ছে, এই মন্তব্যের পালটাই এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি ববিকে চিনি। ওর পরিবারকেও দীর্ঘদিন চিনিও।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন ইশারাতে কিছু ভাব বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, পার্থ নাকি ইশারায় হৃদয় চিহ্ন এঁকেছিলেন। আবার কেমন আছেন অর্পিতা তা ইশারাতে জানতে চেয়েছেন পার্থ, এমনটাও শোনা যাচ্ছিল। পার্থর ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ির প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছিল অর্পিতাকে।
এরপরেই রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। নতুন করে সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করছে ‘অপা’। যদিও এই বিষয়ে একটি বাক্য খরচ করলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদৌ কি ইশারাতে তাঁর কোনও কথা হয়েছিল অর্পিতার সঙ্গে? সেই প্রশ্নের জবাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মৌনই রইলেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর থেকে আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারেই রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।