মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা করে এই যোগদান বলে জানান ISF কর্মীরা। তাঁদের দাবি, নওশাদ সিদ্দিকি বিধায়ক হওয়ার পর এলাকায় কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। বিপদে আপদে তাঁকে পাওয়া যায় না। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা করে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ISF কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানান শওকত মোল্লা।
এই বিষয়ে এক ISF কর্মী রেজাউল শিকারি বলেন, “অনেকদিন ধরেই তৃণমূলে আসার কথা ভাবছিলাম। শওকত ভাই পর্যবেক্ষক হতেই বুঝে যাই এটাই আসল সময়। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ভাঙড়ে কোনও কাজ হয়নি। সারা রাজ্যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন, সেই জোয়ারের মাঝে ভাঙড় জুড়ে শুধুই ভাঁটার আনাগোনা।
এবার সময় এসেছে ভাঙড়েও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে আসার। তাই ISF-এর মতন একটি নীতিহীন দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম”। উল্লেখ্য, কদিন আগেই ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান শওকত। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদ বিতর্কিত মন্তব্য করে বিড়ম্বনায় ফেলেছিলেন শওকতকে।
এদিন সেই কাইজার আহমেদের নেতৃত্বেই ভাঙড় এলাকার ISF কর্মীরা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় এসে তৃণমূলে যোগদান করল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। শওকত মোল্লার কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করছেন কাইজার, বিদ্রুপ করেছেন বিরোধীরা। যদিও কাইজারের দাবি, “আমরা সকলেই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
আমরা সবাই তৃণমূলকে রাজ্যে আরও শক্ত করার জন্যই মাঠে নেমেছি। যার ফলস্বরূপ আজকের এই যোগদান”। এর পাশাপাশি শওকতকে এলাকায় দলের ‘প্রধান সেনাপতি’ হিসেবেও অভিহিত করতে শোনা যায় কাইজারকে। আর শওকতের দাবি, “কাইজার হয়ত অন্য কিছু বলতে গিয়ে ওই কথা বলে দিয়েছে। সেটাকে বেশ মশলাদার খবর বলে চালিয়েছে মিডিয়া”।