রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যে দ্রুতগতিতে হিন্দ মোটরের দিক থেকে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শৌণক। একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার বাইকের চাকা পিছলে যায় ও তিনি পড়ে যান। গতি বেশি থাকায় বাইকে আগুনের ফুলকি ছুটে অনেক সামনের দিকে এগিয়ে যায়, সঙ্গে ঘষতে ঘষতে যান শৌনক। CCTV ফুটেজে দেখা যায় যুবক রাস্তা দিয়ে অনেকটা ঘষটে গিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ম্যাটাডোর গাড়ির সামনে পড়ে যান।
মাথায় আঘাত লাগে তার। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর। খবর যায় শৌনকের বাড়িতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌণক একটি ছোট দোকান চালাতেন। এবং পার্টনারশিপে ছোটখাটো ঠিকাদারী করতেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে শৌনকের রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এবং তার বাড়ির লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও বুলেটটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বুলেটটি কে বা কারা নিয়ে গেল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
মৃত যুবকের মামা রাজকুমার মোদক বলেন, “খুব পরোপোকারী ছেলে ছিল শৌনক। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। তারপর গভীর রাতে থানায় যাই। কিন্তু ওর ক্লাসিক মডেলের বুলেটটি পাওয়া যায়নি। অনেক খুঁজেও এখনও মেলেনি”। রাস্তায় শৌণক আহত হওয়ার পর কেউ বা কারা বাইকটি চুরি করে পালিয়ে গিয়েছে, প্রাথিমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ সেইদিকেই।
আবার এই দুর্ঘটনা ও সেই সঙ্গে বাইক চুরি – দুটি ঘটনা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিনা, ও পূর্ব পরিকল্পিত কিনা, তা নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই এলাকার ও আশেপাশের এলাকার বাইক চোরদের মধ্যেও এই বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।