দীর্ঘদিন বাঁকড়া ইসলামিয়া হাই অ্যাটাচ প্রাইমারি স্কুল চত্বরে নোংরা জল জমে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্কুলের দুটি প্রাইমারি সেকশন আছে। সকালের বিভাগে তিনশো এবং দুপুরের বিভাগে সাড়ে চারশো ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এলাকার পুরনো স্কুল হওয়ায় অভিভাবকদের প্রথম পছন্দ এই স্কুলটি। কিন্তু গত এক বছর ধরে স্কুলের নিচের তলায় ক্লাসরুম এবং তার বাইরের বারান্দায় গোড়ালি সমান জল থৈ থৈ করছে।
নোংরা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্কুলটি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ছোট ছোট পড়ুয়ারা ওই নোংরা জল পার করে ক্লাসে যাচ্ছে। আবার তারা ওই নোংরা জলের পাশে বসে মিড ডে মিলও খাচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগ এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করার ফলে ছেলেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পায়ে ঘা হচ্ছে। ফলে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারছে না।
ছোট ছোট বাচ্চাদের শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন হলে শিক্ষক শিক্ষিকারা বাড়িতে অভিভাবকদের ফোন করছেন। তারা বাচ্চাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের সকাল বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সরেন জানিয়েছেন, “আমরা এই সমস্যার কথা প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
প্রাথমিক স্কুলের পক্ষ থেকে হাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করায় আপাতত বিদ্যালয়ের একতলার কয়েকটি ঘরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। তবে আগস্ট মাসের মধ্যে ক্লাস রুমগুলো ছেড়ে দিতে বলেছে তারা। তখন হয়তো রাস্তায় ক্লাস করতে হবে”। তিনি আরও বলেন, “জলে পড়ে গিয়ে এক শিক্ষিকা একদিন গুরুতর জখম হন। যে কোন মুহূর্তে বাচ্চারাও পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে”।
প্রাথমিক স্কুলের দিবা বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা সরদার বলেন, “স্কুলের এই অসুস্থ পরিবেশ দেখে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাচ্ছেন না। এতে বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই যেভাবেই হোক দ্রুত স্কুলের জমা জল সরিয়ে দেওয়া হোক”।
হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “আমি এই ব্যাপারে ডোমজুড়ের BDO-র সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারি আধিকারিকরা স্কুলে পরিদর্শনও করেছেন। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে ওই স্কুলের জমা জল যাতে সরিয়ে দেওয়া হয়”।