Irrigation Department Of West Bengal : খালপাড়ের উচ্ছেদে সময় লাগবে: রাজ্য – irrigation department said take time to decide on evacuation campaign of kestopur and bagjola khalpar


এই সময়: জবরদখল উচ্ছেদের সঙ্গে আর্থসামাজিক বিষয় জড়িত। ফলে এ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। কেষ্টপুর এবং বাগজোলা খালপাড়ের জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে জাতীয় পরিবেশ আদালতে (এনজিটি) হলফনামায় এমনই জানাল সেচ দপ্তর। তবে ড্রেজিংয়ে তোলা পলি এবং পাঁক ফেলা নিয়ে দপ্তরের দাবি, নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে।

খাল সংস্কারের যে সময়সীমা টেন্ডারে উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলেও জানানো হয়েছে। কেষ্টপুর এবং বাগজোলা খাল সংস্কার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে এনজিটি-তে। মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন এলাকার নিকাশি বর্জ্য এই খালগুলিতে মিশছে।

Kolkata Municipal Corporation : সব বিভাগে বেড়েছে আয়, ছন্দে পুরসভা
ফলে দূষিত হচ্ছে খালের জল। দীর্ঘদিন ধরে খাল সংস্কার না হওয়ায় বিধাননগর পুরসভা, কলকাতা পুরসভার কিছু অংশ এবং শহরতলির বেশ কয়েকটি পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ধসে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাসকয়েক আগে এই দুই খাল এবং ভাঙর কাটাখালের সংস্কারের কাজ শুরু করে সেচ দপ্তর।

কিন্তু খাল থেকে তোলা পাঁক-পলি খালপাড়েই জমা করে রাখা হচ্ছিল বলে নতুন করে অভিযোগ করেন সুভাষ। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। এই অভিযোগ এবং জবরদখল উচ্ছেদ নিয়ে এনজিটি সেচ দপ্তরকে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দেয়।

Ganga River : গঙ্গা তীরবর্তী শহরের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’
দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (ক্যানাল ডিভিশন) দেবব্রত সরকার হলফনামায় জানিয়েছেন, কেষ্টপুর খালের যে অংশে পাঁক দু’পাড়ে তুলে রাখা হচ্ছে, তা সাময়িক। কেবলমাত্র তা শুকিয়ে নেওয়ার জন্যে। পাঁক কিছুটা জলশূন্য হয়ে গেলেই তা খালপাড় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে।

তবে ঠিক কোথায় ফেলা হচ্ছে, তা জানানো হয়নি। অন্য দিকে খালের দু’পাড়ে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের বিষয়ে সরকার সহানুভূতিশীল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই উচ্ছেদ করতে চায় রাজ্য।

সেচ দপ্তর ছাড়াও পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত। ফলে এতে সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে হলফনামায়। এখানেই আপত্তি তুলেছেন সুভাষ।

Kolkata Pollution : নিউ টাউনে পুড়ছে নাড়া, বিষোচ্ছে মহানগরের বাতাস
তাঁর প্রশ্ন, “খালের দু’পাড়ের জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ না করলে সংস্কার হবে কী করে! কিছু অংশে খাল বুজিয়ে, পাড় দখল করে দোকান-বাড়ি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান না করে খালগুলির পূর্নাঙ্গ সংস্কার অসম্ভব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *