তিনি ৭৫-এ পা দিলেন। চুমু-যৌনতা-ভায়াগ্রা-ভালোবাসা-বিছানা-বিপ্লব, ‘গানওয়ালা’ বরাবরই সাহসী। ভক্তদের ভালোবাসার ভাণ্ডারও অফুরান। তাই বোধহয় কবীর সুমন মুক্ত গলায় বলতে পারলেন, ‘আমি বিছানায় চূড়ান্তভাবে সক্ষম-প্রেম করতে হয় শরীর দিয়ে’।
এরপরেই জাকারবার্গের পাড়ায় ধুন্ধুমার। ‘চ্যাংড়ামো হচ্ছে ৭৫-এ তিনি ইয়ে করছেন…বললেই হল!’ এখানেই শেষ কেন হবে? PNPC-র পিণ্ডি চটকে এক নেটিজেনের প্রশ্ন, ‘জনিদাও জীবনে এই দাবি করবেন না!’ অপর এক নেটিজেন তো ভীষ্মের মতো পণ করে বসলেন-‘এ আমি কী শুনিলাম-সত্যি হলে জীবনে আর ইয়ে করব না।’
কেউ যদি ‘ভাও’ বেশি খাও, খাবার হিসাব নাও—‘গানওয়ালা’-র বিশ্বাসের উপর ভর করেই নেটপাড়ার চুলচেরা সমালোচনার নিখাদ পোস্টমর্টামে নেমেছিল এই সময় ডিজিটাল।
৭৫-এ কি বিছানায় কি শুধু বাতের মলমের গন্ধই থাকে? কামগন্ধ কি সেখানে ব্রাত্য? চিকিৎসকরা কিন্তু এক্ষেত্রে ভায়াগ্রাকেই ‘বিছানা বিপ্লবের’ এক ও একমাত্র হাতিয়ার দেখছেন। তবে কিছু সময় কয়েকটি বিষয়ে যুক্তি সাজাতে গিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের তত্ত্ব অনেক সময় মেলে না, তাও বলছেন ডাক্তারবাবুরা।
বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, “কে বিছানায় কোন বয়স পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারবেন তা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। কিন্তু, ৭৫ এ? এই বয়সে যৌনক্ষমতা ধরে রাখা বিরল”। কিছুটা ‘ঢোক গিললেন’ ডাক্তারবাবুও। এক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসক নির্দিষ্ট কারও যৌনজীবন নয়, সার্বিক ভাবে ৭৫ বছর বয়সীর শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করছেন বলেও জানিয়ে রাখলেন।
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “এই বয়সে ওষুধ (ভায়াগ্রা) ছাড়া বিছানায় সেভাবে শক্তি প্রদর্শন সম্ভব নয়। ভায়াগ্রা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। আসলে এই সময় মানুষের যৌন ক্ষমতা অনেকটাই কমে আসে। অনেকেই আনফিট হয়ে যান। কেউ যদি বলেন ৭৫-এ তিনি বিছানায় সক্রিয়, তাহলে তা অবাক করার মতোই বটে।”
ডাক্তারবাবুর সংযোজন, “এই বয়সে কারও যৌন জীবন সক্রিয় থাকলে তা বিরলতম বৈকি।” তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষাপট কবীর সুমনের সাক্ষাৎকার হলেও তিনি নির্দিষ্ট করে যে শুরু শিল্পীর কথা বলছেন না, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন অরিন্দম বিশ্বাস।
অতঃকিম নেটনাগরিকবৃন্দ! হল্লার মাঝেও ৭৫-এও ‘আশার আলো’ -একেবারে ‘দপ করে’ নিভে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ফুলস্টপ লাগানো বিরিয়ানি খেয়ে স্লিম হওয়া যায় না-র মতো ধারণার সমান নয় কি?