Malda News : বসন্তে চর্মরোগ থেকে রেহাই পেতে মালদায় প্রচলিত বিশেষ পুজো, বিনিময় প্রথায় মেলে ভোগের উপকরণ – malda mela to get to escape from skin disease


West Bengal News : বসন্তকালে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে নানা চর্মরোগ। চর্মরোগ দূরীকরণে মালদা জেলায় আজও উপাসনা করা হয় বসন্ত দেবতার। তবে বসন্ত পুজোর সঙ্গে অন্যতম আকর্ষণীয় মালদার চাঁচলের শিহিপুরের মেলা। মেলায় বিক্রি হয় পুজোর ভোগ রান্নার উপকরণ। তবে টাকা দিয়ে সেই উপকরণ অমিল। তার জন্য রয়েছে বিনিময় প্রথা। আজও অভিনব এই প্রথার চল রয়েছে শিহিপুরের গ্রামে। মেলার টানে বহু দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ।

Sheetala Puja 2023: মহাভারত যুগের এই শীতলা মন্দিরে এলেই পুরো হয় মনের সব ইচ্ছে, সুখে থাকে সন্তান
শরীরের যে কোনও চর্মরোগ থেকে মুক্তি পেতে বসন্তের দেবতার উদ্দেশ্যে উপচার সহ পুজো করার প্রথা আজকের আধুনিক যুগেও বহমান। মালদার চাঁচলের শিহিপুরে ফাল্গুন সংক্রান্তিতে ঘটা করে পুজোর প্রচলন আজও রয়েছে। বসন্ত দেবতার পুজোকে কেন্দ্র করে বসে মেলা। মেলাটিও বহু প্রাচীন। প্রায় তিনশো বছর ধরে প্রতি বছরই ফাল্গুনের সংক্রান্তি তিথিতে আয়োজিত হয় ওই মেলা।

Nadia News : কৃষ্ণগঞ্জ শিব নিবাস মন্দিরে শীতলা অষ্টমী পুজো, ভক্তদের ঢল
পুজোতে দেবতার উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগের মধ্যে খই, নাড়ু ও মুড়কি দেওয়ার রীতি রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গন থেকে সংগ্রহ করতে হয় ভোগের ওই সামগ্রী। ভোগের সামগ্রী কেনাকাটার ক্ষেত্রেও প্রাচীন রীতি আজও প্রচলিত রয়েছে। টাকা পয়সা দিয়ে ভোগের সামগ্রী বিক্রয় করেন না বিক্রেতারা। ভক্তেরা বাড়ি থেকে ধান, চাল অথবা সরিষা, গম ও যব সহ যে কোনও উৎপাদিত ফসল থলিতে করে নিয়ে আসেন। আর ওই নিয়ে আসা খাদ্য শস্যের বিনিময়ে ভোগ ক্রয় করা হয় বসন্ত দেবতার।

Sheetala Puja 2023: সামনেই শীতলা পুজো, সন্তানের সুস্থতার জন্য বাসি ভোগ নিবেদন করুন দেবীকে, জেনে নিন
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, গ্রামের দিন দরিদ্র মানুষেরা সেইভাবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারতেন না। বাড়ির উৎপাদিত ফসলের উপর ভিত্তি করেই তারা জীবন-জিবীকা নির্বাহ করতেন। নগদ অর্থ বেশিরভাগ সময় তাদের হাতে থাকত না। আর হয়তো সেই কারণেই তারা বাড়ির উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে বসন্ত দেবতার ভোগের সামগ্রী খই, মুড়কি ও নাড়ু দোকানিদের কাছ থেকে জোগাড় করে নিতেন।

Shri Rang Panchami 2023: আজ হোলি খেলবেন দেবতারা, এই ৪ টোটকা হাতের মুঠোয় করুন সুখ-সমৃদ্ধি!
স্থানীয় এক বাসিন্দা উত্তম সাহা বলেন, “পূর্ব পুরুষদের মুখে শুনেছি, আগে এক্সিমা, চুলকানি, বসন্ত রোগ হতো এই সময়। সেই কারণে ঠাকুরের কাছে মানত করে এই পুজো করা হয়। তার সঙ্গে ভোগের জন্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে।” ফাল্গুনের ওই সংক্রান্তি তিথিতে বসন্ত দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো অর্চনা করলে চর্মরোগের হাত থেকে রেহাই মিলবে। প্রাচীন এই বিশ্বাস তাঁদের অনেকের মধ্যেই ছিল। শিহিপুরের ওই মেলাকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ভোগ নিবেদনে সামিল হন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *