এই গাছশীতলা মোড় এলাকা চন্দ্রকোণা শহরের প্রান কেন্দ্র, মেদিনীপুর ঘাটাল, চন্দ্রকোণা রোড সহ একাধিক রাজ্যসড়ক সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এই গাছশীতলা মোড়। এই এলাকায় রাজ্যসড়কের ধারেই রয়েছে ছোট বড় বহু দোকান। এলাকার ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে গাছশীতলা মোড়ে চন্দ্রকোণা পলাশচাবড়ী রাজ্যসড়কে হাঁটু সমান জল দাড়িয়ে যায় আর সেই জল ঢুকে পড়ে একাধিক দোকানের ভিতর।
এর জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ব্যবসায়ী থেকে পথচলতি মানুষ। রাজ্যসড়কে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় সাময়িক ওই রুটে যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয় গাছশীতলা মোড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে দেয়, ফলে সাময়িক ওই রুটে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পন্যবাহী গাড়ি। রাজ্যসড়ক থেকে জল নামতে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পুরসভার (Chandrakona Municipality) চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার জন্যই বৃষ্টি হলেই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। ওই এলাকায় থাকা পুরসভার মহাড্রেনটি দিয়ে জল নিকাশ না হওয়ায় বৃষ্টির জল ড্রেন উপচে বিভিন্ন দোকানে ঢুকে পড়ে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “এখানে আমার কাপরের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যেবেলায় দোকানে জল ঢুকে বেশ কিছু মাল ভিজে গিয়েছে। এর দায় কি পুরসভা নেবে! এরা কোনও কাজ করে না, শুধুই মুখে বড় বড় ভাষণ। বড় বড় যেসব ড্রেন রয়েছে, সেগুলো ২ মাস অন্তর একবার করে পরিষ্কার করালেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়না।
এখন আমার দোকানে যে জল ঢুকেছে, তা পুরো নর্দমার নোংরা জল। বেশ কিছু নতুন কাপড় সেই জলে ডুবেছে। আমার ছোট দোকান। জলে ঢুকলে যে সব মাল ওপরে তুলে দেব, তারও উপায় নেই”। কম বেশি একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন প্রায় প্রত্যেক ব্যবসায়ীই।