শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই অখিলেশ-মমতা বৈঠক নিয়ে চরম সমালোচনার কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি, বিগত বিধানসভা নির্বাচন গুলি থেকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
যে হারে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এবং সম্প্রতি নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে BJP বা BJP সমর্থিত সরকার গঠন হয়েছে, তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে BJP বিরোধী ঐক্য জায়গা পাবে না। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
তাঁর কথায় “আগে উনি নিজের ঘর গুছিয়ে রাখুন”। তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশের আঞ্চলিক দল। ভোটের আগে ওই দল ওখানকার মানুষের উত্তর পেয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির যারা জোট সঙ্গী ছিল তারাও সরে গিয়েছে। অখিলেশ যাদব তার পরিবারের লোকেদের এক ছাতার তলায় আনতে পারেননি। অথচ তিনি এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন।”
এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আখেরে লোকসান হবে সমাজবাদী পার্টির বলে মত তাঁর। শুভেন্দুর কথায়, “যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত ধরেছেন তাঁদের কী হয়েছে সবাই জানে। ওনারা একসঙ্গে চা খাবেন। CBI ও ED-কে কিভাবে সামাল দেবেন সেই সব আলোচনা করবেন। কাজের কাজ কিছু হবে না।”
উত্তরপ্রদেশ জুড়ে আগামী দিনে রাম মন্দির নির্মাণ জনসাধারণের সমর্থন ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে বলে দাবি তাঁর। তিনি জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। আর এবারে বাংলায় রামনবমী উৎসব প্রায় এক কোটি মানুষ সামিল হবে বলে।
১০ হাজার মিছিল বের হবে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। উল্লেখ্য, শুক্রবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের সমাজবাদী পার্টির পদস্থ নেতৃবৃন্দ।
