ঠাকুর বাড়ির কামনা সাগরে ডুব দেন লক্ষাধিক ভক্ত। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জলে স্নান করলেই মেলে রোগ মুক্তি থেকে নানা সমস্যার সমাধান। উৎসবকে ঘিরে সেজে ওঠে গোটা এলাকা।
ঠাকুরবাড়ির মন্দির পার্শ্বস্থ মাঠেই সাত দিন ধরে চলবে মেলা। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর সহ বিনাপানি দেবী অর্থাৎ বড় মা’র মন্দিরে চলে ভক্তদের বিশেষ প্রার্থনা।মতুয়া ধর্মের বারুনী মেলাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে।
দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে। রেলের তরফ থেকেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ ৮ টি ট্রেন ও প্রায় ৩০ টির লোকাল ট্রেন চালানোর কথাও জানানো হয়েছে এই মেলা উপলক্ষে। এমনকি ঠাকুরবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে জলপথেও ভক্তরা আসছেন ঠাকুরবাড়িতে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী সাতদিন। আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা ঠাকুরবাড়ি চত্বর। রীতি অনুযায়ী প্রথম ঠাকুর বাড়ির সদস্যরা কামনা সাগরে ডুব দেবেন এবং তার পরই ভক্তরা স্নানের সুযোগ পাবে। এমনটাই জানানো হয়েছে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির তরফ থেকে।
পাশাপাশি এই উৎসব উপলক্ষে ঠাকুরনগরে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী। কথা রয়েছে লোকসভার স্পিকারেরও বলে জানান সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর জানান, মতুয়া ভক্তবৃন্দরা যথেষ্ট খুশি।
পাঠ্য পুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানানো হলেও, বিরোধীদের চক্রান্তে তা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলেও জানান বাংলার সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। অপরদিকে মমতা বালা ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীর টুইটকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই মেলা সকলের সকলেই এই মেলায় আসতে পারেন।”
অনুমান করা হচ্ছে, এবছর বারুনী মেলায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এ বছর কয়েক লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা।