TMC Clash In Malda : পঞ্চায়েতে প্রার্থী কে? মালদায় তৃণমূলের সভাতেই হাতাহাতি – malda tmc clash to become panchayat candidate


এই সময়, মালদা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী পদ নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে উত্তর মালদায়। বুধবার সকালে চাঁচলের কলিগ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দুই নেতার প্রার্থী হওয়ার রেষারেষি সামনে এসেছিল। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বুধবার রাতে একই বিষয়ে হাতাহাতি ও দলীয় নেতৃত্বকে হেনস্থার ঘটনা ঘটল হরিশ্চন্দ্রপুরে।

Panchayat Election : প্রার্থী হতে ব্লকে ব্লকে হাজারের বেশি আবেদন! বাছাই করতে হিমশিম দশা তৃণমূলের
বুথ স্তরে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রার্থী বাছাই করার জন্য একটি সভায় প্রার্থী পদের দাবিদার দুই নেতার অনুগামীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করলেও অস্বস্তি ঢাকতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। বরং প্রার্থী হতে চেয়ে এমন উন্মাদনা দলের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।

Panchayat Election : লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই প্রার্থীপদ
তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করা হবে বুথ স্তর থেকে আলোচনার মাধ্যমে। ফলে জেলায় বুথে বুথে স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে । সেখান থেকে উঠে আসা নামের মধ্য থেকে ৩/৪ টি করে নাম প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে ব্লক স্তরে পাঠানো হচ্ছে চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য। আর এটা করতে গিয়েই উত্তর মালদার একাধিক জায়গায় ঝামেলার অভিযোগ আসছে।

Udayan Guha : ‘এমন সংগঠন তৈরি করতে হবে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে পাবে না’, বার্তা উদয়নের
বুধবার রাতে এমনই এক সভা ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবমন্দির বুথে। উপস্থিত ছিলেন দলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেন, অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মণ্ডল নামে তিন তৃণমূল কর্মীর নাম গৃহীত হয়।

Trinamool Congress : সাগরদিঘি এফেক্ট? পঞ্চায়েত ভোটের আগে মালদায় ঘাসফুল ছেড়ে কংগ্রেসে ২০০ কর্মী
কিন্তু এর পরেই নন্দ এবং উত্তমের অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এক সময় দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে তা থামাতে গিয়ে উপস্থিত নেতৃত্ব উল্টে হেনস্থার শিকার হন। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালের কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের তো যত কর্মী তত গোষ্ঠী। পঞ্চায়েতে ওরাই ওদের হারানোর পক্ষে যথেষ্ট।’

CPIM : জোটের কথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত-প্রস্তুতি সিপিএমের
তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সি অবশ্য বলছেন, ‘এলাকাটা একসময় বিজেপির ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে প্রচুর মানুষ তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছে। তাঁদের অনেকে প্রার্থী হতে চাইছেন। এটা দলের পক্ষে সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *