বুথ স্তরে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রার্থী বাছাই করার জন্য একটি সভায় প্রার্থী পদের দাবিদার দুই নেতার অনুগামীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করলেও অস্বস্তি ঢাকতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। বরং প্রার্থী হতে চেয়ে এমন উন্মাদনা দলের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।
তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করা হবে বুথ স্তর থেকে আলোচনার মাধ্যমে। ফলে জেলায় বুথে বুথে স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে । সেখান থেকে উঠে আসা নামের মধ্য থেকে ৩/৪ টি করে নাম প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে ব্লক স্তরে পাঠানো হচ্ছে চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য। আর এটা করতে গিয়েই উত্তর মালদার একাধিক জায়গায় ঝামেলার অভিযোগ আসছে।
বুধবার রাতে এমনই এক সভা ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবমন্দির বুথে। উপস্থিত ছিলেন দলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সভাপতি মোশারফ হোসেন, অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মণ্ডল নামে তিন তৃণমূল কর্মীর নাম গৃহীত হয়।
কিন্তু এর পরেই নন্দ এবং উত্তমের অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এক সময় দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে তা থামাতে গিয়ে উপস্থিত নেতৃত্ব উল্টে হেনস্থার শিকার হন। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালের কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের তো যত কর্মী তত গোষ্ঠী। পঞ্চায়েতে ওরাই ওদের হারানোর পক্ষে যথেষ্ট।’
তৃণমূল জেলা সভাপতি রহিম বক্সি অবশ্য বলছেন, ‘এলাকাটা একসময় বিজেপির ছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে প্রচুর মানুষ তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছে। তাঁদের অনেকে প্রার্থী হতে চাইছেন। এটা দলের পক্ষে সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।’