যদিও বিরোধীদের কথা মানতে নারাজ মহিষবাথানি অঞ্চলের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তারা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই টেন্ডার সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই কাজ শুরু হবে। উন্নয়ন কখনও থমকে থাকবে না। পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষ বাথানি অঞ্চলটি তৃণমূলের দখলে। ১৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২, সিপিএম ১, কংগ্রেস ১, ১৪ টি তৃণমূলের দখলে। বর্তমানে পঞ্চায়েতের প্রধান রূকসানা বিবি।
তার সময় থেকেই এলাকায় কোনরকম উন্নয়নের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ রাস্তাঘাট গুলি প্রায় অধিকাংশ কাঁচা, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা , আবাস যোজনার ঘরের তালিকা একেবারে শূন্য, পাশাপাশি শৌচাগারও নেই। অথচ এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে বরাদ্দ হয়েছে টাকা। কিন্তু নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বাজেট এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি।
আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোট থেকে এলাকার মানুষ বিরত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী তথা মহিষ বাথানি অঞ্চলের BJP-র পঞ্চায়েত সদস্য নমিতা রাজবংশী জানান, “এলাকায় কাজ কিছুই হয় না। শুধু নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা হয় নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল হয়। বাজেটের মিটিংও ঠিকমত পাস হয় না। এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু সেই টাকা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না।
নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। নিজেদের মধ্যেই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গন্ডগোল হচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এলাকায় কিছু উন্নয়ন হয়নি। সে ক্ষেত্রে জনসাধারণ তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবে”। মহিষ বাথানি অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রেজিনা খাতুন গোষ্ঠী কোন্দলের কথা স্বীকার করে বলেন, “মেম্বারদের মধ্যে আমরা কয়েকজন এলাকার উন্নয়ন চাই আবার অনেকে কাজ করতে চান না।
২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যখন আমি প্রধান ছিলাম তখন এলাকার আমি অনেক উন্নয়ন করেছি। কিন্তু বর্তমান প্রধানের আমলে এলাকায় কাজ হচ্ছে না। বর্তমান প্রধান মেম্বারদেরকে নিয়ে বাজেটে বসছেন না। এলাকার উন্নয়নের পক্ষে আমরা, কিন্তু আমাদেরই দলের মেম্বার এবং প্রধান তারা উন্নয়নের বিপক্ষে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে”।
মহিষ বাথানি অঞ্চলের বর্তমান প্রধান রূকসানা বিবি জানান, “আমাদের নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাদের এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি। আমাদের মেম্বাররা অনেকেই কাজে বাধা দিচ্ছিল বাজেট ঠিক মতন পাস হতে দিচ্ছিল না। তবে আমাদের মধ্যে এখন ভুল বোঝাবুঝি নেই আমরা এখন ঠিকভাবে কাজ করব।
এলাকায় রাস্তাঘাট, ড্রেন, হাইমাস লাইটের কাজ বাকি রয়েছে। এবার সেটা করব। বিরোধী যারা আজকে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার কথা বলছে সেটা সঠিক নয়”। তবে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি অবস্থায় যদি বাজেট পেশ করে এলাকায় কাজ শুরু হয়, তাহলে সেটা কতটা সঠিকভাবে হবে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।