বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ডে পদপিষ্টের মামলায় গ্রেফতার আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নয়ডার যমুনা এক্সপ্রসেওয়ের একটি জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই মামলায় জিতেন্দ্র ছাড়াও জড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী চৈতালি-সহ মোট ৩ কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন- দল সম্পর্কে ইডিকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে দিলেন অনুব্রত, ঘুরতে পারে তদন্তের মোড়!
গতবছর ডিসেম্বর মাসে কম্বল বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট সূত্রের খবর, নয়ডায় যমনা এক্সপ্রেসওয়ের একটি জায়গা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস ও গোয়েন্দা দফতর। এখন জিতেন্দ্রকে দিল্লির আদালতে তুলে ট্রান্সিজট রিমান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে নাকি সোজা আসাসোল আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়া হবে, এনিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
ওই মামলায় আসানসোল আদালত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালত, কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে য়ায়। তারপর তিনি মামলা নিয়ে যান সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি দু-একদিনের মধ্যই হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই এই গ্রেফতার। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
ওই ঘটনায় এবার সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করার জন্য বারবার এই কাজ করা হচ্ছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এর জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু যাদের প্রাণ যায় তাদের মধ্যে একটিমাত্র লোককে দিয়ে অভিযোগ করানো হয়। তার পরেই এই গ্রেফতার। যে মানুষটা দানের বস্ত্র নিতে এসেছিলেন তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাচ্ছে। ফলে এর পেছনে তৃণমূল রয়েছে। কয়েকদিন আগে রাত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিড়িতে পুলিস গিয়েছিল।
এদিকে, এনিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এনিয়ে বলেন, তিনি ও শুভেন্দু অধিকারী-সহ কয়েকজন নেতা কম্বল বিতরণের নামে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন কয়েকজন মারা যান ও কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর অভিযুক্তরা এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। এতে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি হওয়া উচিত।