সদ্য স্কুলগুলি চালু হয়েছে। সেই জায়গা থেকে এই স্কুলগুলিতে ৩০ জনের কম পড়ুয়া রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে প্রকাশ করা তালিকায় জেলার চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে৷ তাই এই স্কুলগুলি যাতে বন্ধ না করে দেয় সরকার, তার জন্য জেলা শাসককে লিখিত ভাবে জানাল পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতাল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সদস্যরা।
প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে চারটি প্রাথমিক স্কুল ও চারটি জুনিয়ার হাইস্কুল সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুল রয়েছে। কিছু দিন হল এই স্কুলগুলি শুরু হয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ঠিকঠাক থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই সেরকম পড়ুয়ার সংখ্যা৷
জেলার মধ্যে বাঁধমুল্লুক কিসমত প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঘব নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেঁওগা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাটনা প্রাথমিক বিদ্যালয়- এই স্কুল গুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ এর কম। এদিকে ৩০ এর কম যে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে সেই সমস্ত স্কুলগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে, এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ৮ হাজারের বেশি স্কুলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে জেলার চারটি সাঁওতালি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। ২০২১ সালে এই সমস্ত স্কুলগুলো শুরু হয়েছে। সংগঠনের দাবি সরকারি যে তালিকা বেরিয়েছে স্কুল বন্ধের সেই তালিকা মধ্যে এই চারটি স্কুল যাতে না থাকে সেই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবার জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সানতাল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা শাসককে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজেন হাঁসদা বলেন, “এই স্কুলগুলি যাতে বন্ধ না করে দেওয়া হয়, তারজন্য এদিন জেলা শাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন৷ মোট ১০ দফা দাবি সম্মিলিত পত্র তুলে দিয়েছি। আমাদের দাবি না মানা হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তম আন্দোলনে নামব। এমনকি আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসব”।