Nawsad Siddiqui : নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, নিজের স্কুলে পরিকাঠামো দেখে ‘অবাক’ নওশাদ – isf mla nawsad siddiqui visits primary school in jangipara where he studied


West Bengal Local News: স্কুলে নিয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক, সেই কারণে লাটে উঠেছে পঠনপাঠন। এক ধাক্কায় কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। রাজ্যের অনেক প্রাথমিক ও হাই স্কুলের অবস্থা এরকমই। কিন্তু, হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়ের আলাদা একটি পরিচিতি রয়েছে। এই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে পড়াশোনা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বর্তমানে স্কুলে গণিত, ভৌত বিজ্ঞান ও ইংরেজির কোনও শিক্ষক নেই। বছরের পর বছর লাফিয়ে কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যাও। নিজের স্কুলের বর্তমান অবস্থার কথা কানে গিয়েছিল ভাঙড়ের বিধায়কের। শুক্রবার স্কুল পরিদর্শন করেন নওশাদ।

স্কুলে পরিদর্শনের পর আইএসএফ বিধায়কের অভিযোগ, শিক্ষিতরা কলকাতায় দিনের পর দিন ধর্নামঞ্চে বসে রয়েছেন সেখানে একটি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সরকারের উচিৎ এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা।

Howrah News : শৌচাগারে থই থই করছে নোংরা জল, বাধ্য হয়ে হাওড়ার স্কুলে আসা বন্ধ পড়ুয়াদের
জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়নী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিভাগের পাশাপাশি পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি অবধি পঠনপাঠন হয়। আগে ৬০০ র বেশি পড়ুয়া বর্তমানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি অবধি পড়ুয়ার সংখ্যা কমে ৪৫৩ জন হয়েছে। বিদ্যালয়ে মোট ৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদ্যালয়ে গণিত, ভৌতবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিভাগের নেই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা। বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারা কোন ক্রমে পঠন পাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকের অভাবের কারণে অনেক সময় একটি ঘরে একসঙ্গে দুটি শ্রেণির ক্লাস নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা।

Primary Schools : ছাত্র-ছাত্রীর আকাল! বন্ধের মুখে গাইঘাটার একমাত্র প্রাইমারি স্কুল
জানা গিয়েছে, শিক্ষকের অভাবে সেকশন ভাগ করা সম্ভব হয়নি, সেই কারণে বেশ কয়েকটি ক্লাসরুম বন্ধ রয়েছে। স্কুলে লাইব্রেরি থাকলে তাঁর পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে সেখানে কোনও ল্যাবরেটরি ও কমন রুম নেই। শিক্ষকের অভাবে একটি ক্লাসের মধ্যে ৯০ জন ছাত্রীকে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এমনকী স্কুলে কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই বলেই জানা গিয়েছে।

DA News West Bengal : ‘যেদিন DA পাবেন সেদিন স্কুলে আসবেন’, শিক্ষকদের দেখে গেট আটকালেন অভিভাবকরা
স্কুল পরিদর্শনের পর নওশাদ বলেন, “এটা আমার বাল্যকালের স্কুল। এখানে আপার প্রাইমারি বিভাগে কয়েকটি ক্লাসে প্রায় ১০ বছর পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এছাড়াও পরিকাঠামোর অনেক অভাব রয়েছে। শিক্ষকের অভাবের কারণে অনেক ছাত্রী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। দুঃখের বিষয় শিক্ষকতা করবেন বলে অনেকে কলকাতা অনশন করছেন। আর এখানে শিক্ষকের অভাবে স্কুল পরিচালনা সঠিকভাবে হচ্ছে না। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমি এখানে এসেছি। ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন মানে শুধু লাইট লাগিয়ে দেওয়া বা কল করে দেওয়াই নয়। প্রকৃত উন্নয়ন প্রয়োজন, শিক্ষার উন্নয়ন প্রয়োজন। আমি সরকারকে এই বিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *