স্কুলে পরিদর্শনের পর আইএসএফ বিধায়কের অভিযোগ, শিক্ষিতরা কলকাতায় দিনের পর দিন ধর্নামঞ্চে বসে রয়েছেন সেখানে একটি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সরকারের উচিৎ এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা।
জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়নী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিভাগের পাশাপাশি পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি অবধি পঠনপাঠন হয়। আগে ৬০০ র বেশি পড়ুয়া বর্তমানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি অবধি পড়ুয়ার সংখ্যা কমে ৪৫৩ জন হয়েছে। বিদ্যালয়ে মোট ৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিদ্যালয়ে গণিত, ভৌতবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিভাগের নেই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা। বাকি শিক্ষক শিক্ষিকারা কোন ক্রমে পঠন পাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকের অভাবের কারণে অনেক সময় একটি ঘরে একসঙ্গে দুটি শ্রেণির ক্লাস নিতে বাধ্য হন শিক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, শিক্ষকের অভাবে সেকশন ভাগ করা সম্ভব হয়নি, সেই কারণে বেশ কয়েকটি ক্লাসরুম বন্ধ রয়েছে। স্কুলে লাইব্রেরি থাকলে তাঁর পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে সেখানে কোনও ল্যাবরেটরি ও কমন রুম নেই। শিক্ষকের অভাবে একটি ক্লাসের মধ্যে ৯০ জন ছাত্রীকে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এমনকী স্কুলে কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই বলেই জানা গিয়েছে।
স্কুল পরিদর্শনের পর নওশাদ বলেন, “এটা আমার বাল্যকালের স্কুল। এখানে আপার প্রাইমারি বিভাগে কয়েকটি ক্লাসে প্রায় ১০ বছর পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এছাড়াও পরিকাঠামোর অনেক অভাব রয়েছে। শিক্ষকের অভাবের কারণে অনেক ছাত্রী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। দুঃখের বিষয় শিক্ষকতা করবেন বলে অনেকে কলকাতা অনশন করছেন। আর এখানে শিক্ষকের অভাবে স্কুল পরিচালনা সঠিকভাবে হচ্ছে না। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমি এখানে এসেছি। ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন মানে শুধু লাইট লাগিয়ে দেওয়া বা কল করে দেওয়াই নয়। প্রকৃত উন্নয়ন প্রয়োজন, শিক্ষার উন্নয়ন প্রয়োজন। আমি সরকারকে এই বিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলব।”