আকাশ বাড়িতে এলে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ফের শান্তনুর রিসর্টের উদ্দেশে রওনা দেন ওই দুই ইডি আধিকারিক। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁকে রিসর্টে এনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। সেখানে তাঁকে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
ইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আকাশ ধৃত শান্তনুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শান্তনুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকত সে। ইডি সূত্রে খবর, সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ জিরাট কলেজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত। শান্তনু কখন কোথায় যেতেন, কার সঙ্গে দেখা করতেন, কাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন তা আকাশের থেকে জানার চেষ্টা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আকাশের বাবা দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আকাশের সঙ্গে ব্যবসার কোনও যোগাযোগ নেই। ইডি আধিকারিকরা কেন আমার বাড়িতে এসেছেন জানি না। এসেছে ছেলে নাম ও ঠিকানা জানতে চাইল। শান্তনুর সঙ্গে আকাশের দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। সে পাড়াতে তৃণমূল করত। আমার ছেলে স্নাতক পাশ, জিরাট কলেজে ক্লার্কের চাকরি করে। কীভাবে চাকরি পেল বলতে পারছি না। তবে চাকরি পাওয়াতে শান্তনু কোনও সাহায্য করেনি।”
সুপ্রতিম বলেন, “আমি শান্তনুকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি আমি। নিজের যোগ্যতায় কলেজে চাকরি পেয়েছি, শান্তনু আমাকে চাকরি দেয়নি।” সুপ্রতিম ওরফে আকাশ জানিয়েছেন তিনি এক সময় জিরাট কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিল।
উল্লেখ্য এদিন হুগলির বলাগড়ে শান্তনুর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সম্পত্তিতে হানা দেয় ইডি। চাঁদরার রিসর্টের পাশাপাশি চুঁচুড়ায় শান্তনুর ফ্ল্যাট ও ব্যান্ডেলে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে থাকা দোতলা বাড়িতে যান আধিকারিকরা। দোতলা বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তারা। পরে বেরোনোর সময় বাড়িটি ফের তালাবন্ধ করতে ইডি আধিকারিকদের দেখা গিয়েছে।