সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি বলেন, “আমাকে নিরুদ্দেশ বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি বাড়িতেই রয়েছি, ইডি ডাকলে তাদের নিশ্চয়ই সহযোগিতা করব। আমাকে একবারও ডাকা হয়নি। কোনও চিঠি বা ফোনও আমার কাছে আসেনি। ইডির কাজ তারা করছে, আমাদের এখানে কিছু বলার নেই। স্বামীর বেশ কিছু সম্পত্তির কথা জানতাম, তবে সবটা জানি না। শান্তনুর ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, এটা আমার জানা ছিল না। শান্তনু বিয়ের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”
এদিন শান্তনুকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “দলের তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি মনে করি শান্তনু নির্দোষ। ষড়যন্ত্র করে আমার নামে পোস্টার ফেলা হচ্ছে। শান্তনু এখনও বিচারাধীন, দোষী বলে প্রমাণিত হয়নি। আমার ও আমার ছেলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়া হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারও রয়েছে। সেই কারণে আমরা আতঙ্কিত বোধ করেছি। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক এটাই চাই।”
কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তাঁর স্ত্রী। কুন্তল ঘোষকে চিনতেন কিনা সেই প্রসঙ্গেও জবাব দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “কুন্তল ঘোষকে পাড়ার ছেলে হিসেবে চিনতাম। অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হয়ে কুন্তল এখানে এসেছিল, আমরাও ওঁনার বাড়িতে গিয়েছিলাম। ধাবা-গেস্ট হাউজের টাকা কোথা থেকে এসেছিল সেটা শান্তনু বলতে পারবে। তাঁর কী কী সম্পত্তি রয়েছে সবটা তো আমি বলতে পারব না। তবে আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিরাটের বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে স্নাতক হন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৩ সালে কবুরা এলাকা থেকে তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করেন। প্রিয়াঙ্কার আঁকার স্কুল ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশ ওরফে সুপ্রতিম ঘোষকে তাঁর রিসর্টে টানা দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁকে নিয়ে গাড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।