আজ শনিবার দুপুরে হাওড়া জেলার শ্যামপুরের বাড়গ্রামে প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার আদি বাড়িতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সামসুল আলম মোল্লার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়।
জেলার এই বর্ষীয়ান নেতাকে নিয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দল একজন দক্ষ সংগঠককে হারাল। আজ গোটা জেলার জন্য শোকের দিন। উলুবেড়িয়া ও সন্নিহিত অঞ্চলের জন্য উনি অনেক কাজ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি দলের কাজ করে গিয়েছেন। দলীয় কাজের বাইরেও আমার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো ছিল। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে আজ একজন অভিভাবককে হারালাম”।
স্থানীয় মানুষদের মতে, সামসুলবাবুর দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতেন। তাঁর কাছে কেউ কোনও অনুরোধ বা কাজ নিয়ে এলে কেউ কোনোদিন খালি হাতে ফিরতেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। সামসুলবাবুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার বাড়ি আর ওনার বাড়ি একই এলাকাতেই। কাজেই বহুদিন ধরে ওনাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।
ওনার কাছে কোনও অনুরোধ নিয়ে কেউ এলে কখনও খালি হাতে ফিরতেন না, সে যেই দলেরই হোক না কেন। নিজের দলের বাইরেও সব দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল”। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রথম থেকেই জড়িয়ে ছিলেন উলুবেড়িয়ার এই বর্ষীয়ান নেতা। বেশিরভাগ সময় সামলেছেন এলাকার দলীয় সংগঠন।
অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক হিসেবে গোটা উলুবেড়িয়া মহকুমায় সুনাম ছিল তাঁর। বিভিন্ন সময় এলাকার বহু মানুষ তাঁর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দক্ষ সংগঠক হলেও কোনোদিন বিধায়ক বা সাংসদ পদের টিকিটের জন্য তদ্বির বা দাবি করতে দেখা যায়নি তাঁকে, এমনটাই জানিয়েছেন উলুবেড়িয়ার তৃণমূল নেতারা। শেষ বয়সে এসে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।