West Bengal News: একাধির দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে তৄণমুল নেতাদের নামে দুর্নীতির পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। সোনারপর ব্লকের প্রতাপনগর অঞ্চলে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সামনে এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। দুর্নীতির অভিযোগ আনা পোস্টারে প্রতাপনগর অঞ্চলের তৄণমুল সভাপতি ও সোনরপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালি ও পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় নস্করের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রামের ঢালাই রাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এমনকী ১০০ দিনের কাজের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
পোস্টারে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আবাস যোজনার নামে গ্রামাবাসীদের থেকে টাকা আদায় ও তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে। তবে এই পোস্টার কারা লাগাল সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে টাকা বরাদ্দ করা হলেও সেইভাবে কোনও কাজই হয়নি। কাজ না করেই বরাদ্দ টাকা দলীয় নেতারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। Pradhan Mantri Awas Yojana : কড়ি ফেলেও মেলেনি বাড়ি! মালদায় রাজ্য সড়ক অবরোধ গ্রামবাসীদের এলাকার বাসিন্দা তপন সাঁপুই বলেন, “আমাদের এলাকায় রাস্তায় কোনও উন্নয়নই হয়নি। রাস্তা না থাকার কারণে বর্ষাকালে যাতায়াতের সমস্যা হয়। এমনকী খালের সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও কোনও কাজ হয়নি।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ ঢালি বলেন, “আমি ১৯৯৮ সাল থেকে এই দল করছি এবং ২০১১ থেকে দায়িত্বে রয়েছি। সামনে নির্বাচন রয়েছে। আমি রয়েছি বলে অনেকের করে খাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। যাঁরা এই কাজ করছে, তাঁরা সামনে থেকে বললে ব্যবস্থা করতে পারতাম। আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। আসলে এঁরা দলের ক্ষতি করতে চাইছে।”
TMC Latest News : কেন্দ্র টাকা আটকানোয় বিধানসভায় সরব তৃণমূল এই পোস্টারের কথা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূলের উপর থেকে তলা গোটাটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তৃণমূলকে একমাত্র হঠানো গেলেই প্রতাপনগরের গ্রামবাসীদের দাবি সফল হবে। লুঠেরাদের হঠিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত তৈরি করতে হবে। যে পঞ্চায়েত মানুষের মতামত নিয়ে কাজ করতে চায়, তাঁদের ভোট দিতে হবে।”