পার্থ চৌধুরী: বালি মাফিয়াদের নয়া কৌশল। ডুপ্লিকেট বিশ্ব বাংলার লোগো ছাপিয়ে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এনিয়ে সব থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- সুকন্যার আরও ১০ কোটির এফডি-র হদিস, টাকার উত্স ফাঁস করলেন অনুব্রত সিএ
চমকে দেবার মত ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার রুখতে সক্রিয় হয় প্রশাসন। পরিবহন দফতর ওভারলোড আটকাতে অভিযান চালাচ্ছে। আর তা করতে গিয়েই সামনে এসেছে বালি মাফিয়াদের ওই কৌশল।
শক্তিগড়ে একটি বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাক আটকায় সন্দেহের কারণে। সেসময় লরির চালক আধিকারিকদের মেজাজ দেখায়। তার কাছে অনুমতি আছে বলে দাবি করে সে একটি ‘সরকারি’ কুপন দেখায়। তাতে বিশ্ববাংলা লোগো-র পাশাপাশি ‘ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহন ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’ লেখা ছিল। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি। বিষয়টি পরিবহন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়। আশেপাশের জেলাকে সতর্ক করা হয়। জানা গিয়েছে; বীরভূমের ইলামবাজার থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। সেই কারণে সব থানাকেও সতর্ক করা হয়েছে।
এই নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহল। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার জানান; এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিসি-ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।
কঠোর সমালোচনা করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তিনি বলেন, জেলায় বালি, কয়লা-সহ সব পাচারেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বালি পাচারের এই চক্র চলছে শাসকদলের মদতে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু জানান; সরকার ওই ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে। বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিস তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া সাফ জানান; এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।