Dakshin 24 Pargana : একচালা ঘরে টিউশন করে চলে সংসার, জয়নগরে ‘ব্যতিক্রমী’ পঞ্চায়েত প্রধান – gram panchayat pradhan living simple life at jainagar


West Bengal News : একচালা মাথা গোঁজার ঠাঁই। গৃহকর্তা সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সকালে। সারাদিন কাজকর্ম করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে। বিকেলে ফিরে শুরু হয় ছাত্র তৈরির টিউশন। এই হল রোজনামচা জয়নগরের হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের।

টিউশনের আয়ের উপরেই ভরসা রুজিরুটির। নেই কোনও আড়ম্বর, প্রাচুর্য্য। একের পর এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসক দল। তখন এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর সর্দার।

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে চাকরি বাতিল আমতার পঞ্চায়েত প্রধানের
রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে উপপ্রধান বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে নিত্যদিনই। এবার এক অন্য চিত্র দেখা গেল জয়নগর এক নম্বর ব্লকের অধীনে হরি নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান আজও ছাত্র পড়িয়েই নিজের সংসারটুকু চালান।

সরকারি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বাঁকা পথে উপার্জনের লেশমাত্র নেই তাঁর জীবনে। জেলায় জেলায় একগুচ্ছ উদাহরণ রয়েছে, যেখানে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি অট্টালিকাসম। রয়েছে বিপুল প্রতিপত্তি, বিলাসিতা। সেখানে এই হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের জীবনযাপন সাধারণত্বের সাক্ষ্য বহন করে।

Bankura BJP : ‘তোলাবাজরা এলে ঝাঁটাপেটা করে তাড়িয়ে দিন…’, নিদান বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের
এক চালা অ্যালবেস্টারের ছাউনির ঘরে সংসার। আবার বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়লেই ঘরে ঢুকে যায় জল। প্রধানের স্ত্রী নিজেও সেলাইয়ের কাজকর্ম করে দিনের পর দিন এভাবেই টানছেন তাঁদের সংসার।

২০১৮ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিট নির্বাচিত হন। তারপর তাঁকে বসানো হয় প্রধানের আসনে। নিয়ম করে নিত্যদিন কখনও সাইকেলে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে পঞ্চায়েতে যান। সেখানে পরিষেবা দেন সাধারণ মানুষের। পঞ্চায়েতের কাজ শেষ করে আবার প্রতিদিনের মতো ছাত্র পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই প্রবীর সরদার।

Pradhan Mantri Awas Yojana : কড়ি ফেলেও মেলেনি বাড়ি! মালদায় রাজ্য সড়ক অবরোধ গ্রামবাসীদের
রাজ্যে BJP থেকে CPIM সমস্ত বিরোধীদল প্রত্যেকেরই একই অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত প্রধান পদে বসেই আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচনের জয়লাভের পরেই রাতারাতি ভোল বদলেছে পঞ্চায়েত প্রশাসনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার। বড় গাড়ি‌, বাড়ি কোনও কিছুরই অভাব নেই। সেই জায়গা থেকে এমন প্রধানের দুর্দশা দেখে বিস্মিত গ্রামবাসীরাও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের প্রধান বলা যায়, কুঁড়ে ঘরে বাস করে। খুব ভালো মানুষ। সবার সবরকম কাজ করে দেন। এইরকম প্রধান আমরা এতদিনে আগে কোনওদিন দেখিনি।”

TMC Conflict : পঞ্চায়েতে পড়ে কোটি কোটি টাকা! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উন্নয়ন থমকে মালদায়
অবশ্য এরকম দিনযাপনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর সর্দার। তাঁর কথায়, “আমরা যখন মানুষের কাজ করবো বলেই এখানে আসি, তাহলে তো বিলাস বহুল জীবনের কোনও মানেই হয় না। আমাদের নেত্রীকে দেখে এগুলো শেখা।”

আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে ভোটের দিনক্ষণ। তবে তিনি আর রাজনীতিতে থাকতে চান না এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *