জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার কোনও আইনজীবী ছিলেন না । জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, তিনি নিজের হয়ে সওয়াল করবেন। সেই মতোই তিনি নিজেই আদালতের সামনে জামিনের জন্য আবেদন জানান আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের। বিষয়টিকে দুর্ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বিচারকের কাছে জামিনের প্রার্থনা করেন তিনি। যদিও বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা জানতেই পুলিশ নিজেদের হেফাজতে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিতে চেয়েছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল তথ্য জানতে চাইছে পুলিশ।
অন্যদিকে, আসানসোল আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখায়। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই কাণ্ড।
১৪ ডিসেম্বর ২০২২ আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনায় দিল্লির নয়ডা থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ দলের হাতে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
২০২২ সালে ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের আয়োজন করেছিলেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী। মোট ১৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যার মধ্যে আট জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আগাম জামিনের আবেদন করে আদালতে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি সহ পাঁচ জন। কলকাতা হাইকোর্ট তাদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।