স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার আলিপুরদুয়ারের জয় বীরপাড়া চা বাগান থেকে একটি অসুস্থ চিতা বাঘ উদ্ধার করে বন দফতরের দলগাঁও বীরপাড়া রেঞ্জের বন কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ জয় বীরপাড়া চা বাগানের ২৩ নং সেকশনের একটি নালায় ওই লেপার্ডটিকে ছটফট করতে দেখে কর্তব্যরত চা শ্রমিকরা। ঘটনা জানাজানি হতেই চা বাগানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা ওই বাঘটিকে দেখতে ভিড় জমায়।
চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। চা বাগান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতেই বাঘ লোকালয়ে আসার ঘটনা বন দফতরকে জানায়। খবর পেতেই বন দফতরের দলগাঁও বীরপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
এরপর বাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। নেট দিয়ে অসুস্থ ওই বাঘটিকে পাকড়াও করা হয়। পরবর্তীতে বাঘটিকে চিকিৎসার জন্য বন বিভাগের দলগাঁও বীরপাড়া রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার বিকেলে চিতাবাঘটিকে উদ্ধারের পর নিয়ে আসা হয় জলদাপাড়া বনবিভাগের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে। প্রাথমিক তদন্তের পর বনকর্তা ও চিকিৎসকদের অনুমান খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই চিতাবাঘটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসায় সুস্থ উঠলে ওই চিতা বাঘটিকে ফের জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন দফতর।
তবে এদিন সন্ধ্যা ৭:৩০ টা নাগাদ চিকিৎসা চলাকালীন চিতা বাঘটির মৃত্যু হয়। তবে বাঘটির খাদ্যে বিষক্রিয়া কীভাবে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। খাবারে বিষ থাকার কারণে বাঘটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এরপর সেটি ধীরে ধীরে চা বাগানের কাছে চলে আসে বলেই বন কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই মৃত চিতা বাঘের দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়িতে। মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের পূর্ব হৃদয়পুর এলাকায় একেবারে জেলা পরিষদের সামনে রাস্তার উপরে একটি চিতা বাঘের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চিতা বাঘটি পূর্ণবয়স্ক এবং মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। ফলে ভোরবেলা কোনও গাড়ির ধাক্কায় চিতা বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়।