আগামী বুধবার মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডুতে মুসলিম সম্প্রদায়ের জলসার আয়োজন করা হয়। সেই জলসার জন্য কিছু জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন। এই বিষয়েই মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডু গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের কাছে আবেদন নিয়ে যান স্থানীয় যুবক জালালুদ্দিন সহ কয়েকজন। অভিযোগ, এই বিষয়ে আবেদন জানানোর পরেই তাঁদের কুৎসিত ভাষায় কথা শোনানোর পাশাপাশি ঝাঁটা দিয়ে মারধরও করা হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক জেলার BJP সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এই দলের কাছ থেকে ঝাঁটার বাড়িই পাওয়া যায়। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কী ভাবে এই ধরনের আচরণ করা সম্ভব! মনে রাখতে হবে যিনি এই কাজ করেছেন তাঁকেও ভোটে জয়ের জন্য মানুষের সমর্থন প্রয়োজন হয়েছে। তাঁর কাজ মানুষের কথা শোনা।”
তাঁর আরও সংযোজন, “এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।” এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে এই যাবতীয় অভিযোগ উঠছে সেই বেতকুন্ডু গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল এই সময় ডিজিটাল। কিন্তু, তা ব্যর্থ হয়।
মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতিকে এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। এই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। দল পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেউ দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এদিন বেতকুন্ডু গ্রামপঞ্চায়েত যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেই সময় পাশের গ্রাম নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে অংশ নেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি সুদর্শন মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এখন দেখার এই ঘটনায় দল কি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?