এজেন্ট দিয়ে টাকা তুলতেন লিঙ্কম্য়ান অয়ন, ২ কোটি টাকা নিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন এক সাব-এজেন্টকে


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা ৩৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়ের লিঙ্কম্যান ও পেশায় প্রমোটার অয়ন শীল। তার অফিস থেকে অ্যাডমিট কার্ড, ওএমআর শিট ও একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চাকরিপ্রার্থীদের কাছে থেকে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা তুলতেন অয়ন। ফলে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেল অয়নের নাম।

আরও পড়ুন-গ্রেফতার শান্তনুর লিঙ্কম্যান অয়ন শীল, টানা ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশিতে মিলল নিয়োগের নথি

তদন্তে উঠে এসেছে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া ও তার জন্য কত টাকা লাগবে সেই ডিল ফাইনাল করত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এই একই কাজ করত অয়ন শীল। পরবর্তীকালে টাকা তোলার ব্যাপ্তি যখন বাড়ল তখন বেশ কিছু এজেন্ট নিয়োগ করেন অয়ন। তারাই গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কার চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন তার তথ্য সংগ্রহ করত। একইসঙ্গে টাকা তোলার কাজও শুরু করে তারা। যাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল তাদের অনেককে চাকরি দেওয়া যায়নি। এমনও হয়েছে যে একজন সাব এজেন্ট ২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছেন অয়ন শীলকে। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় হেনস্থার শিকার হনষ শেষপর্যন্ত তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এবার অয়ন ও শান্তনুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও থথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তদন্তে উঠে আসছে সাম্প্রতিক কালে নিজে থেকে সরাসরি টাকা নিতেন না। এ জন্য সাব এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা ও দেবনন্দপুরের তৃণমূল নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরফে গুরুদা নামে একজনকে অনেকে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। তিনি প্রায় ২ কোটিরও বেশি টাকা তুলে অয়ন শীলকে দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি দিতে পারেনি অয়ন শীল। এদিকে শ্রীকুমারকে চাপ দিতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি অয়ন শীলের বাড়িতে এসেও শ্রীকুমারকে অপদস্থ হতে হয়। শেষপর্যন্ত ২০১৮ সালের শেষের দিকে শ্রীকুমারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পরে জানা যায় ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হন শ্রীকুমার। ধীরে ধীরে বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এদিকে, এমনটাও শোনা যাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অরিজিনাল ডক্যুমেন্টও নিয়ে নিতেন অয়ন শীল।  

অয়ন শীল যে এত দুর্নীতির মধ্যে ডুবে রয়েছে সেটা টের পাননি প্রতিবেশীরা!মাঝে মধ্যে শুনেছিলেন চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে। তবে এই বার এই ঘটনা শুনে হতবাক হয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা বলছেন অয়নের বাবা-মা সজ্জন ব্যক্তি। প্রতিবেশী মঞ্জুলা দাস বলেন,তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল। পাড়ায় সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। তবে আমরা এই ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানি না। অয়ন পঞ্চায়েতের কাজ করতো। ছোট থেকে দেখে কোনদিন খারাপ মনে হয়নি। শুনে অবাক হচ্ছি। অন্য এক প্রতিবেশী অনিতা অবস্তি বলেন, আমাদের সামনে বাড়ি। খুবই ভালো ব্যবহার ছিল। আমরা শুনেছিলাম ছেলের পড়াশুনার জন্য চলে গিয়েছিলো। টাকা তুলে চাকরি দিয়েছে শুনিনি। আগেরদিন ইডি এসেছিল,দেখে জানতে পারলাম। কাউকে কখনো এই বাড়িতে আসতে দেখিনি। সাধারণ মানুষের মত চাল চলন ছিল। শেষবার দুর্গাপুজোতে দেখেছি। রোজগার করতে গেলে পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু অসৎ পথে হলে এটা অন্যায় করেছেন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *