মাতৃভাষা বাংলার এমন অপমানে গর্জে ওঠেন নেটিজেনরা। সোমবার স্কুল খুলতেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বাংলাভাষা প্রেমী এক সংগঠন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তারা বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া ও দক্ষিণেশ্বর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়।
সোশাল মিডিয়ার ধিক্কার ও এই বিক্ষোভের জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে স্কুলে ফের ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং স্কুলে বাংলা পড়ানোও অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলা ভাষার শিক্ষিকাকে অপসারিত করার চিঠিতে কর্তৃপক্ষের ভুল ইংরাজি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের ইংরাজির তর্জমা করলে দাঁড়ায়- ‘বাংলা ভাষার কোনও অস্তিত্ব নেই।’ এতে আরও তীব্র হয়েও ওঠে বিতর্কের আগুন। কিন্তু, ওই ইংরাজির ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘Student’ শব্দটি ভুলবশত বাদ চলে গিয়েছিল। আসলে বলতে চাওয়া হল, “বাংলা ভাষার ছাত্র একেবারেই কম।”
উল্লেখ্য, সব স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হবে বলে ২০১৭ সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন। ভারতের সব রাজ্যের স্কুলে সেই রাজ্যের ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক। তবু এ রাজ্যে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে অবহেলিত বাংলা ভাষা তা বহুদিনের অভিযোগ। আরিয়াদহ নওদাপাড়া হোলি চাইল্ড স্কুল-এর ঘটনায় তা আবারও সামনে আসে।