তবে নওশাদ সিদ্দিকির ওপর যুবকের চড়াও হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান স্পিকার। তবে তাঁর কথায়, “নওশাদ সিদ্দিকি নিরাপত্তা চাইলে তাঁকে নিশ্চয়ই নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” রবিবার বারুইপুরে বিধানসভার স্পিকার তথা তৃণমূল বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি পালনে এসেছিলেন। সেখানেই তিনি জানান, আইএসএফ বিধায়ক হোম ডিপার্টমেন্ট ও তাঁর কাছে আবেদন করলেই নিরাপত্তা পাবে।
তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা নিতে চাইনি। তাঁদের এত বেশি নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে যে এমএলএ হোস্টেলে তা নিয়ে সমস্যায় পড়েন অন্যান্য বিধায়করা।” তবে যেহেতু নওশাদ সিদ্দিকি কোনো কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান না, সেক্ষেত্রে তিনি স্পিকারের কাছে আবেদন করে আরও বেশি নিরাপত্তা পেতে পারেন বলেই জানান স্পিকার।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ ডিএর ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদের বক্তৃতা দেওয়ার মাঝেই এক যুবক অতর্কিতে তাঁর সামনে উঠে আসেন। জানা গিয়েছে, কিছু কথা ভোলার পরেই তিনি নওশাদকে জিজ্ঞাসা করেন, ”আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন?” এমনকি নওশাদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
যদিও ভাঙড়ের হাতিশালার ঘটনা এবং তারপরে নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর থেকে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক দূরত্ব আরও চওড়া হয়। যদিও দীর্ঘদিন নওশাদ সিদ্দিকির জেল হেফাজত থাকার সময়েও মন্তব্য করতে গিয়ে নরম মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা যায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
স্পিকারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ওঁর আইনজীবীদের উচিত ছিল এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ভাবে পদক্ষেপ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এত দিন জেলে রাখার মতো কারণ আছে বলে মনে করি না।” এদিনও আইএসএফ বিধায়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের ব্যাপারেও সম্মতি দিতে শোনা যায় বিধানসভার স্পিকারকে।