বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুকে গ্রেফতারির পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল তাঁর ফোন ‘সোনার খনি’। এইদিন আদালতে আরও একবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, অয়নকে নিজেদেরে হেফাজতে চেয়ে ইডির আইনজীবী এদিন দাবি করেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম শুধু এসএসসি। পরবর্তীকালে জানা গিয়েছে যে সব সরকারি অফিসেই দুর্নীতি হয়েছে।” ইডির দাবি, রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। অয়নের বাড়ি থেকে ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর নামের তালিকা মিলেছে।
আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগের নামে বাজার থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছেন অয়ন শীল। ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “তদন্ত শুরুর সময় আমরা ভেবেছিলাম রাজ্যে এসএসসি ও টেট দুর্নীতি রয়েছে। তদন্তে নেমে জানতে পারি রাজ্যের সব দফতরেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে। এই অবস্থা থেকে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ আমাদে বাঁচাতে পারে।”
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ শাসকদলের অনেক নেতাই জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই মামলার তদন্তে নতুন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “কেস ডায়েরি যাবতীয় তথ্য রয়েছে। খোলা আদালতে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।”
ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুকে গ্রেফতারির পর তাঁর বাজেয়াপ্ত মোবাইলের হোয়াটস্যাপ চ্যাট ঘেঁটে দেখা হয়। সেই চ্যাট থেকে প্রথম অয়ন শীলের তথ্য মেলে। দেখা যায় একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। তখন গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। ইডির দাবি, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম যে সোনার খনির হদিশ মিলেছে। সবে সোনার খনির ১০ শতাংশ জানতে পেরেছি।’ এদিন অয়নের ১৪ দিনের হেফাজতের দাবি করেছে ইডি।