সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার বাগদী পাড়া ইন্দিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার বাগদী পাড়া ইন্দিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালবাঁধ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় এক মাস ধরে মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে।
‘কম বেতন’-এর অজুহাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না বন্ধ রেখেছেন। ফলে অভূক্ত অবস্থাতেই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দাবি, আগে তাঁরা মাসিক তিন হাজার টাকা মাইনে পেতেন। এখন তা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। ফলে সব কাজ ফেলে স্কুলে রান্নার দায়িত্ব সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
এই বিষয়ে লালবাজার বাগদী পাড়া ইন্দিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কাবেরী দত্ত বলেন, “২০১৭ সালে আমি যখন এই স্কুলে যোগ দিই, তখন ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭৫ জন, চলতি বছরে কমে তা হয়েছে ২৫। ফলে মিড ডে মিলের বরাদ্দও কমেছে। এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যারা জন পিছু মাত্র ৫০০ টাকায় রান্না করতে রাজি নন”।
বিষয়টি তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান। এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান বসুমিত্রা সিং বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নেব, একই সঙ্গে সর্বশিক্ষা মিশন ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের নজরে আনব।”
তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যাদের জোর করে রান্না করানোর বিষয়টি তাঁর এক্তিয়ারভূক্ত নয় বলেই তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP। দলের বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত, তোলাবাজ ও গুণ্ডারাজ সরকার চলছে এই রাজ্যে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলিকে ‘ধুয়ে মুছে সাফ’ করে দেওয়া হচ্ছে”।
মিড.ডে.মিল পরিচালনায় স্বচ্ছতার দাবি তারা জানিয়েছেন বলেও জানান। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা ও স্কুলের রাঁধুনি সাধনা দুবে এই বিষয়ে বলেন, “সোজা জানিয়ে দিয়েছি এত কম টাকাতে রান্না করা সম্ভব নয়। আমাদেরও খারাপ লাগছে যে বাচ্চারা খেতে পাচ্ছে না। কিন্তু আমাদেরও সংসার চালাতে হয়। প্রশাসনের উচিৎ আমাদের টাকা বাড়ানো।”