কখনও বাঁকুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে, কখনও ফুলিয়ায় নিজের বাড়িতে থাকছিলেন। ইদানীং বাড়িতে বসে অনলাইনে কিছু কাজ করতেন। ঠিক কী কারণে অস্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্ত করে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন গৌরাঙ্গ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গ্রামের বাড়িতে এলে এলাকার সবার খোঁজ নিতেন। মৃতের ভাই বিভাস বসাক বলেন, “দাদা বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। আঠারো উনিশ বছর ওখানেই ছিলেন। গতবছর দুর্গা পুজোর কয়েকদিন আগে নাবালক ছেলের মৃত্যু হলে ছেলের শোকে কাজ ছেড়ে দেন। কখনও বাঁকুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে, কখনও ফুলিয়ার বাড়িতে থাকছিলেন।”
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক ধরে ফুলিয়ার বাড়িতেই ছিলেন গৌরাঙ্গ। তাঁর স্ত্রী ছিলেন বাপের বাড়িতে। ভাই বিভাস বলেন, “দাদার পরিবারে অন্য কোনও অশান্তি ছিল বলে শুনিনি। গত দুর্গাপুজো কয়েকদিন আগে বারো বছরের ছেলে ওখানকার একটি বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়। তারপর থেকে দাদা শোকের মধ্যেই ছিলেন। ছেলের শোকেই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন।”
ফুলিয়ার প্রবীণ মানুষ হরিপদ বসাক বলেন, “সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেঙ্গালুরুর বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও গ্রামের কথা ভোলেননি কখনও। এখানকার তাঁত শাড়ির নকশাও তৈরি করে দিতেন তাঁত শিল্পীদের জন্য।”