Plastic Carry Bags : চার বছর লড়ে ক্যারিব্যাগের ৪ টাকা আদায় ক্রেতার – after fighting for four years buyer is collecting 4 rupees for carry bag


এই সময়: চার টাকার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ কিনতে কি বাধ্য করতে পারেন বিক্রেতা? এমন ক্যারিব্যাগ যাতে ওই নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের লোগো বসানো থাকবে? এই নিয়ে প্রায় চার বছর আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা জেলা ক্রেতাসুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টাল স্টোর যেভাবে তাদের নির্দিষ্ট লোগো দেওয়া ক্যারিব্যাগ কিনতে বলেছে, তা ঠিক নয়।

চার বছর বাদে ক্যারিব্যাগের দাম বাবদ চার টাকা ক্রেতাকে ফেরাতে বলেছে শশীকলা বসু, অশোকা গুহরায় (বেরা) এবং ধীরাজকুমার দে-র নেতৃত্বাধীন কলকাতা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের বেঞ্চ (ইউনিট-৩)। পাশাপাশি ৪৫ দিনের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আইনি লড়াইয়ের খরচ বাবদ আরও দু’হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ না দিলে বছরে ৮ শতাংশ হারে সুদও গুণতে হবে সংস্থাকে।

Medical Insurance: হাসপাতালে ভর্তি না হলেও মিলবে মেডিক্লেমের টাকা
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯-এর নভেম্বরে। পর্ণশ্রীতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন বেহালার বাসিন্দা সুরজিৎ খাঁড়া। যখন জিনিসপত্র কেনার পর বিল করছেন বিপণির কর্মী, তখন সুরজিৎ দেখেন, একটি ক্যারিব্যাগের দাম বাবদ চার টাকা ধরা হয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন।

জানান, ওই সংস্থার লোগো দেওয়া ক্যারিব্যাগ তাঁর লাগবে না। তাই চার টাকা ফেরানো হোক। তাতে নারাজ ছিলেন স্টোর কর্তৃপক্ষ। সুরজিৎ বলেন, প্রয়োজনে কোনও লোগো না-দেওয়া ক্যারিব্যাগ তাঁকে দেওয়া হোক। তাতেও সাড়া দেননি কর্তৃপক্ষ। এরপরই তিনি ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন।

কমিশনে শুনানি চলাকালীন সুরজিৎ জানান, ক্রেতা না-চাইলে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তাঁকে ক্যারিব্যাগ কিনতে বাধ্য করতে পারে না। পাশাপাশি কোনও নির্দিষ্ট লোগো সাঁটানো ক্যারিব্যাগও দিতে পারে না তারা। শুনানিতে ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর জানায়, সুরজিৎ জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও ব্যাগ সঙ্গে আনেননি।

Dengue Symptoms : ভক্তিতে কম, মশাতেই বেশি ধুনো দিচ্ছেন বিধাননগরবাসী
তাই তারা প্রথমে সুরজিৎকে বলেছিল, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারাই ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেবে। তাতে তিনি নারাজ ছিলেন। যদিও কমিশনের পাল্টা প্রশ্ন, ক্রেতার বাড়িতে জিনিস পৌঁছে দেওয়ার খরচ তো চার টাকার বেশি। সেটা স্টোর কর্তৃপক্ষ কীভাবে ক্রেতাকে প্রতিশ্রুতি দিল, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, তারা এই দাবির সপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেনি।

স্টোরের তরফ থেকে এমনও যুক্তি দেওয়া হয়, যেহেতু সরকার পুনর্ব্যবহারের অযোগ্য প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে চেষ্টা করছে এবং সেই মর্মে নোটিফিকেশনও রয়েছে, তাই ভালো ক্যারিব্যাগের জন্য তারা নির্দিষ্ট দাম ধার্য করেছে। কমিশন পাল্টা প্রশ্ন তোলে, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ যখন নিষিদ্ধ তখন কাগজের ক্যারিব্যাগ দেওয়া হলো না কেন? তাছাড়া প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ হলে কোনও সংস্থা নিজেদের প্রচারের জন্য নিজের লোগো দেওয়া ক্যারিব্যাগ নিতে ক্রেতাকে বাধ্য করতে পারে না।

Calcutta High Court : ‘প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব’, হাইকোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে SSC
এরপরই কমিশন ওই স্টোর কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। যদিও অভিযোগকারী এর আগে অনেক বেশি অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করে রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা ফোরামে যে আবেদন করেছিলেন এবং সেই আবেদন রাজ্য ফোরাম খারিজ করে দিয়েছে–এই তথ্য গোপন করায় মামলাকারীর সমালোচনা করেছে ফোরাম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *