Rabindra Bharati University : হেরিটেজ ধ্বংস? বিতর্ক পুর রিপোর্টে – rabindra bharati university heritage buildings destroying kolkata municipality clash revealed


এই সময়: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং বিটি রোড ক্যাম্পাসের হেরিটেজ কি ধ্বংস হয়েছে? এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নামে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পুরসভার হেরিটেজ রক্ষা কমিটির রিপোর্টে মেনে নেওয়া হয়েছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির একাংশ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সংগঠন দখল করে ভবনের চরিত্র বদল করেছে।

Kolkata Heritage Buildings : হেরিটেজ সংরক্ষণে নয়া নীতি রাজ্যের
তা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরসভার তরফে বাজেয়াপ্ত করার কথাও জানানো হয়েছে। তবে বিটি রোডে মরকতকুঞ্জের প্রাচীন ভবনটির একাংশ দখল করে শাসকদলের কর্মী সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন অফিস বানানো ও বিশ্ব বাংলা লোগো লাগানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে পুরসভার মত, যেখানে এই ইউনিয়ন অফিস তৈরি হয়েছে তা হেরিটেজের অংশই নয়। আর তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।

আজ সোমবার এই মামলায় ফের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘পুরসভার রিপোর্টটিও তো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আদালত মনে করেছে, পুরসভার রিপোর্ট সাযুজ্যপূর্ণ নয়। কারণ হেরিটেজ ভবনেরই শেষাংশে তা তৈরি হয়েছে। যা হেরিটেজের অধীন।’ অরুণাংশুর সংযোজন, ‘হেরিটেজ বাড়ির শৌচালয় কি হেরিটেজের অংশ হয় না?

Kolkata Municipal Corporation : সব বিভাগে বেড়েছে আয়, ছন্দে পুরসভা
আর যদি মেনেই নিই যে হেরিটেজ নয়, তা হলেও তো তা বেআইনি নির্মাণ। সে ক্ষেত্রে পুরসভা এমন রিপোর্ট দিল কী ভাবে?’ এ ব্যাপারে কর্মী সংগঠনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব না হলেও বর্তমানে এই কারণেই ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শাসকদলের ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ দে (বাপ্পা)-র উপর। পুরসভার রিপোর্ট প্রসঙ্গে বাপ্পার বক্তব্য, ‘রিপোর্টে পরিষ্কার যে এই কাজের সঙ্গে শিক্ষাকর্মী সংগঠন জড়িত। তা হলে আমার উপর কেন নিষেধাজ্ঞা? আমি তো কর্মী সংগঠনের কেউ নই।’ কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আদালতের সামনেই তাদের আইনজীবী যা জানানোর জানাবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *