বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক শান্তনু ঘনিষ্ঠকে আতস কাঁচের তলায় আনছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এরকমই এক নাম উঠে এসেছে হুগলির পুড়শুড়া থেকে। পুড়শুড়ার তকিপুরের যুবনেতা রাকেশ মণ্ডল। ইডির স্ক্যানারে পুড়শুড়ার তকিপুরের যুবনেতা রাকেশ মণ্ডল।
শান্তনুর একাধিক কোম্পানির মধ্যে ‘ইভান কনটেন্ট’ সংস্থার ডাইরেক্টর ছিলেন এই রাকেশ। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিগত ভাবে তাঁর ‘অভিভাবক’ এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাকেশ। রাকেশ বলেন, “তাঁর সঙ্গে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক ছিল, তাই আমাকে কিছু ডক্যুমেন্ট চেয়েছিল দিয়েছিলাম।” কোনও কিছু না বুঝেই শুধুমাত্র সম্পর্কের খাতিরে তিনি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানির ডিরেক্টর পদে বসে যান বলে জানান রাকেশ।
যদিও এখনও পর্যন্ত রাকেশকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়নি। তবে ডাকা হলে তিনি প্রস্তুত আছেন বলেই জানান। রাকেশ বলেন, “আমাকে ডাকা হলে আমি নিশ্চয় যাব। আমাকে যা জিজ্ঞাসা করা হবে, যেটুকু জানি পুরোটাই বলবো।” তবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। রাকেশ বলেন, “ওঁর নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। নিয়োগের বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
রাকেশ বর্তমানে খানাকুল বিডিও অফিসে চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি পদে কর্মরত। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সম্পত্তির হদিশ করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। শান্তনুর সম্পত্তির ব্যাপারে রাকেশ জানান, কিছু সম্পত্তির ব্যাপারে তাঁর কাছে খোঁজ ছিল। কিন্তু বাকি সম্পত্তি ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনও সন্ধান ছিল না। ইডি সূত্রে খবর, বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বড় এলাকা জুড়ে রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিশালাকার বাগানবাড়ি। এ ছাড়াও নামে, বেনামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বিলাসবহুল রিসর্ট রয়েছে। শান্তনুর আরও এক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে চুঁচুড়াতেও।