বীরভূম জেলায় কান পাতলেই শোনা যায়, কেরিম খান আর কাজল শেখের সম্পর্ক এক কথায় সাপের নেউলে। ঠিক এই ঘটনারই বহিঃপ্রকাশ হল নানুর তৃণমূলের ফেসবুক পোস্ট থেকে। অন্যদিকে, কোনও নোটিশ না দিয়ে নানুর ব্লকের ৭টি অঞ্চল সভাপতিদের কে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে নানুরের বাসপাড়া তৃণমূল কার্যালয়ে সামনে অঞ্চল সভাপতি সহ তৃণমূলের একাধিক কর্মীরা ‘নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির পদত্যাগ চাই’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
এই অঞ্চল সভাপতিরা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন নানুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ রহমত। এই বিষয়ে নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “যারা দুর্নীতি ও ঠিকাদারি করেন, তাদেরকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” দলীয় নির্দেশেই এদেরকে সরানো হয়েছে বলে দাবি করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।
এদিকে সরিয়ে দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিরা নানুর ব্লকের আমার কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। পদত্যাগ না করলে আরো বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন এই অঞ্চল সভাপতিরা।
এই বিষয়ে কেরিম খানের এক ঘনিষ্ঠ সুব্রতর নামে বিস্তর অভিযোগ করে বলেছেন, “সুব্রত ভট্টাচার্য যে কেমন লোক তা বীরভূম জেলার বাচ্চা বাচ্চারা জানে। উনি নিজের মর্জি মতন চলেন। সবাইকে নিয়ে দল করার বা সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ওনার মধ্যে নেই। সেই সঙ্গে ওনার মধ্যে স্বজনপোষণ প্রচুর। সব ক্ষমতা নিজের কাছের লোকদের মধ্যেই রাখবেন, তাই এক ধার থেকে ৭টি অঞ্চল সভাপতিকে সরানো হয়েছে।”
অনুব্রত মণ্ডল এই মুহূর্তে জেলায় নেই বলে সুব্রত এই সমস্ত কাজ করার সাহস পাচ্ছেন উনি, অভিযোগ করে বলেছেন ওই কর্মী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুব্রতহীন বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনে বেশ কিছুটা বেকায়দায় রাজ্যের শাসকদল। আর সেকারনেই দলীয় বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী এই জেলার সংগঠনের ওপরে বিশেষ নজর দিয়েছেন।
অফিশিয়ালি কাউকে এই জেলার পর্যবেক্ষক না করা হলেও, আকারে ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বীরভূম জেলার রাশ ও দায়িত্ব তিনি নিজের হাতেই রাখতে চলেছেন।