ওয়াও মোমোতে (Wow Momo) আরশোলা!
দমদম নাগেরবাজার এলাকার একটি ওয়াও মোমো আউটলেট অনলাইনে পছন্দের মোমো অর্ডার করেছিলেন তৃষা ভট্টাচার্য। তাঁর অর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় ডেলিভারিও চলে আসে। প্যাকেট খুলে প্লেটে মোমো নিয়ে কামড় বসাতে গিয়েই ছিটকে যান তৃষা। দেখেন মোমোর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে একটি আরশোলা। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন তিনি। মোমোর ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওয়াও মোমোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃষা। লেখেন, “রিয়েলি ওয়াও উইথ হোয়াট আই হ্যাভ রিসিভড।” একটুও ক্ষমাপ্রার্থী নই জানিয়ে তৃষা সংস্থাকে ট্যাগও করেন তাঁর পোস্টে। আর সেই থেকে শুরু হয় বিতর্ক।
ওয়াও মোমোর (Wow Momo Outlet) ভিতর আরশোলা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। প্রত্যেকেই সংস্থার বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করে দেন। কেউ বলেন, “এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও এমনটা ঘটেছে।” কেউ আবার বলেন, “শিশুরাও মোমো খেতে ভালোবাসে। সেখানে ওয়াও মোমো যদি ন্যূনতম কোয়ালিটি চেক না করেই এ হেন খাবার দেয়, তাহলে তো মুশকিল।” অনেকে আবার তৃষাকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন।
কী বলছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক?
এই সময় ডিজিটালকে তৃষা ভট্টাচার্য বলেন, “নাগেরবাজারের ওয়াও মোমো আউটলেট থেকে অর্ডার করেছিলাম। প্লেটে ঢেলে খেতে গিয়েই দেখি এই কাণ্ড। তারপর স্যুইগিতে রিপোর্ট করি। টাকা ফেরত পাঠায় ওরা। কোয়ালিটি কমপ্লেন্টও করেছি। ওরা জানিয়েছে ওয়াও মোমোকে পুরো বিষয়টা জানাবে।”
কী প্রতিক্রিয়া ওয়াও মোমোর
গ্রাহকের এই অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় ওয়াও মোমোকে। এই সময় ডিজিটালকে ওয়াও মোমোর ন্যাশনাল বিজনেস হেড নিলয় চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টা বিস্তারিত খতিয়ে দেখে আমরা গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করব। এই ধরণের অভিযোগে আমরা আউটলেটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখি। অনলাইন ডেলিভারি হয়েছে না আউটলেটে এসে বসে খেয়েছেন গ্রাহক, তা জানতে হবে আগে।”
নিলয় চক্রবর্তী আরও বলেন, “আমাদের কোনও আউটলেটে মোমো তৈরি হয় না। কসবাতে একটি সেন্ট্রাল কিচেন রয়েছে। সেখান থেকেই কোল্ড ভেহিকেলের মাধ্যমে শহরের সমস্ত আউটলেটে তৈরি করা মোমো পাঠানো হয়। আর তাছাড়া আমাদের মোমো তৈরির গোটা প্রক্রিয়াটিই মেশিনের মাধ্যমে হয়। ময়দা মাখা থেকে শুরু করে চিকেন মিক্সিং কিংবা মোমোর উপরের পুর তৈরি, গোটাটাই মেশিনে অটোমেটিক হয়। আউটলেটগুলিতে কেবলমাত্র গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী ফ্রাই, স্টিম কিংবা সস দিয়ে ম্যারিনেট করা হয়।”
ওয়াও মোমোর ন্যাশনাল বিজনেস হেডের আরও সংযোজন, “যত মোমো প্রোডাকশন হয় তাঁর ৯০ শতাংশই মেশিনে তৈরি। আউটলেটের সমস্ত কর্মীরা গ্লাভস পরে কাজ করেন। পাশাপাশি প্রতি সাতদিন অন্তর আউটলেটগুলিতে পেস্ট কন্ট্রোলিং করা হয়। ফলে এই ধরণের পোকামাকড় পাওয়া খুবই বিরল ঘটনা। হয় না বললেই চলে। তবুও আমরা গ্রাহকের অভিযোগকে সম্মান জানিয়ে গোটা প্রক্রিয়া রিচেক করব। গোড়াতে কোনও গলদ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখব।”