প্রবীর চক্রবর্তী: অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। আর এই দিনই নাম না করে তাঁকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। প্রশ্ন উঠছে অনুব্রতর মাথা থেকে এবার কি উঠল তৃণমূল হাত?
আরও পড়ুন-সুকন্যার আরও ১০ কোটির এফডি-র হদিস, টাকার উত্স ফাঁস করলেন অনুব্রত সিএ
নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে সাসপেন্ড হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছে দল। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন উঠেছে অনুব্রতর ক্ষেত্রে কী তাঁর পাশেই রয়েছে দল? সেক্ষেত্রে আজ শশী পাঁজার মন্তব্য যথেষ্ঠ গুরুত্বপূণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কী বলেছেন শশী পাঁজা? মঙ্গলবার তিনি বলেন, গোরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্তদের দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যা হচ্ছে তা হতে দিন। আমরা আবারও বলছি, এটা ত্বরান্বিত হোক। এই তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। এটা চলতে দেওয়ার অর্থ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে, তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার মধ্যে এভাবেই দলের চরিত্রহনন চলছে।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজনৈতিক কারণে অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দল তার পাশে রয়েছে। কয়েকদিন আগেই খোদ অনুব্রত বলেছেন, দল তাঁর পাশে রয়েছে। তার মধ্যে আজ শশী পাঁজার মন্তব্য থেকে মনে করা হচ্ছে দুর্নীতি ইস্যুতে কোনওভাবেই দল জড়াতে চায় না। এদিন শশী পাঁজা বলেন, দুর্নীতি যিনি করেছেন দায় তার। দল দুর্নীতি করতে বলেনি। দল কাজ করার জন্য সুযোগ দিয়েছে, চুরি করার জন্য নয়। দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দল। জেলা সভাপতি তো ছোট বিষয়।
শশী পাঁজার ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, উনি নিজেই কনভিনসড নন। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দলের সম্পর্কের সুতোটা কেটে দিচ্ছেন। এটা তো সম্ভব নয়! তৃণমূল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে সাসপেন্ড করেছে। তবে তার সঙ্গে দলের সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূল কখনও বলেনি সব দুর্নীতির দায় পার্থর। শশী পাঁজা আজ এসব বলছেন। কিন্তু কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অনুব্রত নির্লোভ।