জাগো বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “শিক্ষায় বেনিয়মে তদন্ত চলকালীন অয়ন শীল নামে এক প্রোমোটার করা হয়ছে। অয়নের সমস্ত দায়ভার শাসকদল তৃণমূলের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে অয়ন রাজ্যের শিক্ষা দফতরে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে কাজ করত। শিক্ষা দফতরের সব তথ্যই অয়নের মাধ্যমে আপলোড হত। বাম আমলে সে চাকরি করতে শুরু করেছে। ২০ বছর ধরে সে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে সব তথ্যই তাঁর কাছে থাকত। তাহলে তো বলতে হয় অয়ন বামেদের নির্দেশেই কাজ করেছে।”
তৃণমূলের মুখপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, অয়নকে প্রোমোটার, ব্যবসায়ী তকমা দিয়ে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল ঘুরিয়ে দেওযার চক্রান্ত করা হচ্ছে। জাগো বাংলাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে বাম আমল থেকে টানা ডাটা এন্ট্রির কাজ করছে অয়ন। সেই সময় নিয়োগের সব নথি, তাঁর হাতেই ছিল। বাম আমলের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে শাসকদলের মুখপত্রে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এই সব ফালতু কথার কোনও উত্তর হয় না। কমিশন তৈরি করে, টাকা ধ্বংস করে বাম আমলের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, কিন্তু তার ফলাফল এখনও জানা যায়নি। আরও কমিশন তৈরি করে তদন্ত করুক, কেউ বারণ করেনি। ১৯৯০ সালের পর নিয়োগের শ্বেতপত্র করে প্রকাশ করবে সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ২০১১ সালের পর কতজনের চাকরি হয়েছে তা প্রকাশ করুক। অয়ন শীলকে চাপবার জন্য তৃণমূলকে নামতে হচ্ছে। এখান থেকে স্পষ্ট যে এঁদের মতো লোকেরাই তৃণমূলের সম্পদ।”
উল্লেখ্যে, অয়নের গ্রেফতারির পর তাঁর সল্টলেকের অফিস থেকে দুই ট্রলিব্যাগ ভর্তি নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেই নথি খতিয়ে দেখে সোমবার আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। শুধুমাত্র এসএসসি নয়, রাজ্য সব দফতরেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।