তবে খুব একটা অফিসে তিনি আসতেন না বলেই জানিয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। খুব একটা পঞ্চায়েতে আসতেন না, আর যখন আসতেন তখন SUV গাড়িতে চড়ে আসতেন, দাবী করেছেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল।
আদতে চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ার বাসিন্দা হলেও ২০১৯ সালের পর থেকে অধিকাংশ সময় চুঁচুড়ার বাইরে থাকতেন। গত শনিবার চুঁচুড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয় অয়নকে। অবশেষে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালানোর পরে সেখান থেকে তাকে আটক করে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ED।
আর এরপরেই একের পর এক পেঁয়াজের খোসার মতন তার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এক সময় পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কাজ করতেন অয়ন। তবে খুব একটা বেশি অফিসে আসতেন না, আর যখন আসতেন তখন SUV গাড়িতে চড়ে আসতেন বললেন তৎকালীন পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ রায়।
তিনি বলেন, “তৎকালীন সময়ে আমি ৬ থেকে ৭ মাস তার সঙ্গে কাজ করেছি। তবে যখন তিনি আসতেন তখন তিনি SUV গাড়িতে চড়ে আসতেন এবং পঞ্চায়েতে খুব একটা আসতেন না। পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে পান্ডুয়া থেকে বদলি হয়ে তিনি বলাগড়ে চলে যান। আগে তাকে দেখে বোঝা যায়নি, কিন্তু এখন তার বিরুদ্ধে যতটাই শুনছি বিস্ময় হয়ে যাচ্ছি।”
গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসছে এই অয়ন শীলকে ঘিরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতারিতদের ভরসা পেতে বিকাশ ভবনে চাকরির পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের মন পেতে বিকাশ ভবনেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সই করে ইন্টারভিউও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চাকরি হয়নি বলেই অভিযোগ। এই সমস্ত বোমা ফাটানো তথ্যের মাঝেই আগামী দিনগুলিতে এই অয়ন শীলকে নিয়ে আর কি কি ঝাঁঝাল তথ্য বেরিয়ে আসে, সেই দিকেই নজর সকলের।