এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ শানাতে টেনে আনেন নন্দীগ্রাম ভোটের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ”নন্দীগ্রামে সংখ্যালঘুদের ভোট সমস্ত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি জিতেছিলাম শুধু হিন্দু ভোটে। তৃণমূল সুপ্রিমোর ঝুলিতে যায় ৬৫ হাজার সংখ্যাালঘু ভোট।”
এখানেই শেষ নয়, আনিস খানের মৃত্যু, বগটুইয়ের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে এনে তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংখ্যালঘুরা ভোট দিয়ে সরকারে আনার পরও সংখ্যা লঘুদের সঙ্গে এমন ব্যবহার। আনিস খানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন, বগটুইয়ে ১০ জনের বেশি মুসলিম নারী ও শিশুকে পায়ে শিকল বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গোটা দুনিয়া দেখেছে নওশাদ ভাইয়ের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে তাঁর টুপি ধরে টানাটানি করা হয়। এসবের পরও সংখ্যা লঘু ভোট আশা করে?”
এই প্রসঙ্গে বগটুইয়ের মানুষের ক্ষোভকে তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ”এখানে বিজেপির কোনও ভোট নেই।” শহিদ দিবস পালনে এসে এদিন স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেননি স্থানীয়রা। সেই প্রসঙ্গ তুলেই কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ”এখানে বিজেপির কোনও ভোট নেই। এখানে বিধানসভা তৃণমূলের, জেলা পরিষদ তৃণমূলের, পুলিশ থেকে এসডিও, জেলা শাসক সব তৃণমূলের। তবুও একবারও কেউ একবছরে খবর নিতে আসেনি। আমর সারাবছর এদের পাশে থেকে শহিদ বেদি তৈরি শুরু করতেই এদের টনক নড়ে।”
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন শাসক দলকে। বলেন, ”আগে গোরু, কয়লা, বালি পাচারের টাকা বোলপুরে যেত এখন কালীঘাটে যায়। অয়ন শীলের অফিস থেকে যা বেরিয়েছে সেই ভয়ে ওড়িশা পালিয়েছে।”