এই সময় ডিজিটালকে বন্দন রাহার দাদা বলেন, ‘ছ’ মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল। আমি আর আমার স্ত্রী ওকে চোখে চোখে রাখতাম।’
তাঁর সংযোজন, ‘এদিন আমি ওর (বন্ধন রাহা) বউদিকে ট্রেনে তুলতে বেরিয়েছিলাম। বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। দেখে গেলাম ও ভালো আছে। স্বাভাবিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু, ফিরে এসে আর বাড়ি ঢুকতে পারছিলাম না। বারবার ওকে ফোন করেছি। বাড়িতে ঢুকে দেখলাম এই কাণ্ড বাঁধিয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে বাগুইহাটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে একটি আত্মহত্যার ঘটনার খবর মিলেছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বছর (২০২২) পুজোতেও থিমের কাজ করেছেন বন্ধন রাহা। কিন্তু, তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল অবসাদ। প্রবল টেনশনের কারণে ডায়াবেটিসের শিকার হয়েছিলেন।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ঘেঁটেছিলেন বন্ধন রাহা। একসময় প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু, সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
তাঁর পরিবারে নাকি মানিয়ে নিতে পারেননি স্ত্রী। তাই ডিভোর্স ফাইল করেছিলেন। সেই মামলা চলার ফলে আইনি গেরোয় জড়িয়ে পড়েছিলেন বন্ধন।
বন্ধনের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পী মহল। সনাতন দিন্দা বলেন, ‘আমি শুনলাম বন্ধনদা মারা গিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু, এমনটা ঘটতে পারে সেটা ভাবিনি।’